স্কুলের জমি বিক্রি: কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৫ নভেম্বর ২০১৭, ২২:২১

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা ফতুল্লার ভূইগড় গিরিধারায় রমজান আলী চিশতি উচ্চ বিদ্যালয়ের জমি বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ আট জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

রবিবার ৫ নভেম্বর দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিদ্যালয়ের পক্ষে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন কমিটির সহ-সভাপতি শাহাদাত চৌধুরী।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন স্কুলের পরিচালনা কমিটির সভাপতি সেলিম চৌধুরী, আনিছুর রহমান মৃধা, দাদন আকন, মো. আলীম, আতাউর রহমান, কামাল হোসেন, নাজমুল আলম ও ইউসুফ মিয়া।

বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন জানান, আদালত মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা সিআইডিকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের ২৯ আগস্ট ফতুল্লার ভূইগড় গিরিধারা আবাসিক এলাকায় রমজান আলী চিশতী উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে সাড়ে ৭ শতাংশ জমি দান করে দলিল (নং ৪২৪০) সম্পাদন করেন ওই এলাকার বাসিন্দা সেলিম চৌধুরী। এরপর জনগণের আর্থিক সহযোগিতায় স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

সম্প্রতি পরিচালনা কমিটির সভাপতি সেলিম চৌধুরী ১৪ জন শিক্ষককে এমপিও ভুক্ত করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জনপ্রতি শিক্ষকদের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে সবর্মোট ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। স্কুলটির জমিটি একই এলাকার আনিছুর রহমান মৃধা, দাদন আকন, আব্দুল আলিম ও আতাউর রহমানের নেতৃত্বে তাদের একটি চক্র দখল করে নেয়। তারা স্কুলটির অবকাঠামো দখল করে নিয়ে টেবিল বেঞ্চসহ সকল আসবাবপত্র লুটে নেয় এবং স্কুলটির সাইনবোর্ড মুছে ফেলে সেখানে ক্রয়সূত্রে মালিক উল্লেখ করে তাদের নামের সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দেয়।

স্কুলের ভবন বেদখল হয়ে পড়ায় শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ১২০ জন শিক্ষার্থীর। শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নানাভাবে ভয়ভীতি, অপহরণ ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সদর উপজেলা পরিষদের ইউএনও, জেলা শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। যে কারণেই তিনি মামলা করেছেন বলে বাদী জানান।

অন্যদিকে এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্কুলের জমি দখলে নেয়া আনিছুর রহমান মৃধা বলেন, ‘স্কুলটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি সেলিম চৌধুরী শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে রেজ্যুলেশন এনেছেন তিনি স্কুলটি আর পরিচালনা করবেন না। এছাড়া স্কুলটিতে কোনো শিক্ষার্থীও ছিল না। সেলিম চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরেই কিডনি রোগে আক্রান্ত। যে কারণে স্কুলের জমিটি আমাদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।’

জেলা শিক্ষা অফিসার শরীফুল ইসলাম জানান, ‘কেউ যদি স্কুলের নামে সম্পত্তি দান করে তাহলে সেটা জনগণের সম্পত্তি হয়ে যায়। সেই জায়গা পুনরায় বিক্রি করার এখতিয়ার তার নেই। গিরিধারা রমজান আলী চিশতি উচ্চ বিদ্যালয়ের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’

(ঢাকাটাইমস/০৫নভেম্বর/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :