দিনাজপুরে লাইভ পার্চিংয়ের ব্যবহার বাড়ছে

শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর থেকে
 | প্রকাশিত : ০৬ নভেম্বর ২০১৭, ০৮:০৬

চাষে সাশ্রয় ও ফসল উৎপাদন বেশি হওয়ায় দিনাজপুরে ফসলের মাঠে লাইভ পার্চিংয়ের ব্যবহার বাড়ছে। এর মাধ্যমে ক্ষেতে ক্ষতিকারক পোকা-বালাই দমনের পাশাপাশি মাটির নাইট্রোজেন ঘাটতিও পূরণ হচ্ছে। ফলে লাইভ পার্চিং জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এ অঞ্চলের কৃষকদের কাছে।

আগের বছরগুলোতে উপকার পাওয়ায় এবারও দিনাজপুরের বিরল উপজেলার পুরিয়া গ্রামের কৃষক মতিউর রহমান তার ফসলের ক্ষেতে ব্যাপক হারে লাইভ পার্চিংয়ের ব্যবহার বাড়িয়েছেন। এতে তার যেমন কীটনাশকের খরচ কমছে, তেমনি বাড়ছে ফসলের উৎপাদন।

মতিউর রহমানের মতো দিনাজপুরের অসংখ্য কৃষক এখন ব্যবহার করছেন লাইভ পার্চিং।

দিনাজপুরে এবার প্রায় ২ লাখ ৬৬ হাজার ৯৭২ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলের মাঠজুড়ে এখন চোখে পড়ছে এই লাইভ পার্চিং। আফ্রিকান জাতের এই ধনচে গাছ ফসলের ক্ষেতে রোপণ করেছেন কৃষক।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক গোলাম মোস্তফা জানান, ফসলের মাঠে লাগানো এই গাছে এসে বসছে পাখি। তারা ক্ষেতের নানা পোকা ধরে খায়। এতে সহায়ক হচ্ছে পোকা দমন। শুধু যে ক্ষতিকর পোকা দমনই হচ্ছে তা নয়, এ গাছের মাধ্যমে পূরণ হচ্ছে মাটির ঘাটতি নাইট্রোজেন। লাইভ পার্চিংয়ের ব্যবহারের ফলে ফসল কাটার পর কৃষক পাচ্ছেন বাড়তি জ্বালানি খড়ি।

লাইভ পার্চিংয়ের ব্যবহার বাড়াতে ও কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি বিভাগসহ কাজ করছে বিএডিসি। এ পদ্ধতি অনুসরণ করে ইতোমধ্যে বেশ সুফলও পেয়েছেন তারা। দিন দিন কমে আসছে কীটনাশকের ব্যবহার। সাশ্রয় হচ্ছে অর্থের। কৃষক পাচ্ছেন ফসলের ভালো ফলন। ফলে দিন দিন এ পদ্ধতি ব্যাবহারে আকৃষ্ট হচ্ছে কৃষক।

(ঢাকাটাইমস/৬নভেম্বর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :