‘অনলাইন টিকিটের যাত্রীরা ইনস্যুরেন্স সুবিধা পাবে’

শেখ সাইফ, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৬ নভেম্বর ২০১৭, ১৫:০২

আমাদের দেশেও অনলাইনে পরিবহনের টিকিট বিক্রি জনপ্রিয় হচ্ছে। আমাদের দেশে প্রথমে এই সেবা নিয়ে আসে বাসবিডি ডটকম ডটবিডি (বাই বাস টিকিটস অনলাইন) ও লঞ্চবিডি ডটকম (বাই লঞ্চ টিকিটস অনলাইন)। এই কার্যক্রমের নানা দিক নিয়ে এই সময়কে বলেছেন প্রতিষ্ঠান দুটির ম্যানেজিং পার্টনার মো. সিদ্দিকুর রহমান, পার্টনার তালুকদার সবুর আহমেদরফিকুজ্জামান তাপস। তাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ও ছবি তুলেছেন শেখ সাইফ

অনলাইন টিকিট বিক্রিটা শুরু করলেন কিভাবে?

মো. সিদ্দিকুর রহমান: আমি দেশের বাইরে বেঙ্গালুরে লেখাপড়া করেছি। ওখানে দেখেছি টেকনোলজির দিক থেকে আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে। তখন দেখতাম বর্তমানে আমরা যে সেবাটা দিচ্ছি সেটা তারা আরো পাঁচ বছর আগে থেকে এটা প্রোভাইট করছে। তারপর আমি ইউরোপে ছিলাম দীর্ঘ ৯ বছর। ওখানে আরো অ্যাডভান্স। তো দেশে ফিরে আসার পর ভাবলাম, এটা আমাদের দেশেও তো করা যায়। ওই ধ্যান-ধারণা থেকে আমি আর আমার পার্টনার সবুর সাহেব মিলে কাজে নামলাম। উনিও কিন্তু বেঙ্গালুর থেকে লেখাপড়া করেছেন। ওনার সঙ্গে পরিচয় ১০-১২ বছরের মতো হয়েছে। আমি মার্কেটিং সাইডে আর উনারা টেকনিক্যাল সাইডের দিকটা নিয়ে কাজ শুরু করলেন। তারপর আমরা দেখলাম যদিও এটা হার্ড হবে তবুও এখানে একটা স্কোপ আছে। এটা চ্যালেঞ্জ ছিল। তবুও আমরা ট্রাই করতে থাকলাম। তারপর আমরা ধীরে ধীরে কাজ করতে করতে আজকের অবস্থানে এসেছি।

সেই সময় কতটা সাড়া পেয়েছিলেন?

মো. সিদ্দিকুর রহমান: ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমরা শুরু করেছিলাম। প্রথমে আমরা একটা-দুইটা কোম্পানি নিয়ে কাজ করেছি। এখন সেটা বেড়ে চল্লিশটা এসে দাঁড়িয়েছে। তো যখন আমরা বিভিন্ন বাস কোম্পানির কাছে যাওয়া শুরু করলাম। কেউ কেউ পজেটিভ দেখাচ্ছি। কেউ কেউ নেব-নেব না আবার অনেকেই একেবারে নেগেটিভ অ্যাপ্রোচ করছিল। তো আমরা তাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলাম যে, এটা আপনাদের একটা অ্যাডভান্টেজ আসবে। আপনারা ডিজিটাল যুগে অ্যানালগে বসে আছেন। আপনাদের সিস্টেম লস হচ্ছে। আমাদের সফটওয়্যারটা ইউজ করলে অনেক উপকারিতা পাবেন। এখন যারা আমাদের সফটওয়্যার ইউজ করছেন সম্মানিত বাস মালিকরা হয়তো তারা কেউ এখন দুবাইতে বসে আছে বা সৌদিতে আছে, ইউরোপে আছে। তিনি কিন্তু ট্যাবের মাধ্যমে বা অ্যান্ড্রয়েডের মাধ্যমে ব্যবসার সবকিছু জানতে পারবেন। কোন কাউন্টারে কত সেল, কোন গাড়িটা কখন ছাড়ছে, কোন গাড়িতে কতগুলো সিট বিক্রীত আছে অবিক্রীত আছে, আজকের রেভিনিউ কত সব জানতে পারবে। তো এভাবে প্রথমে দু-একটা কোম্পানি আমাদের কাছ থেকে নিল। তাদের দেখাদেখি অন্য গাড়ি কোম্পানিগুলোও নিতে থাকল। সে থেকে আজকের এই অবস্থানে।

এখন চিত্রটা কেমন?

মো. সিদ্দিকুর রহমান: ইন্ডাস্ট্রির দিকে আমরা পুরোপুরি সফল। আগে আমরা অনেক কোম্পানির কাছে যেতাম এখন অনেক কোম্পানি আমাদেরকে খুঁজে নিচ্ছে। আর একটা চ্যালেঞ্জ ছিল লোকজন ঘরে বসে টিকিট কাটবে কি না বা এই সেবাটা নেবে কি না। এটার গ্রোথ আগের থেকে অনেক ভালো। বর্তমানে আমরা চল্লিশটা বাস কোম্পানির সাথে যুক্ত আছি। ছোট বড় মাঝারি অনেক ধরনের বাস আছে। সব বাসই দূরপাল্লার এবং আন্তর্জাতিক মানের। আমাদের ঢাকা টু কলকাতা বাস সার্ভিস চালু আছে। দেশ ট্রাভেলস এবং শ্যামলী পরিবহনের। এটাই অনলাইনে টিকিট কেটে সহজে মানুষ যাচ্ছে।

সরকারি কোনো সহায়তা পেয়েছেন?

মো. সিদ্দিকুর রহমান: আমরা সরকারের কোনো সুযোগ সুবিধা প্রত্যক্ষভাবে পাইনি তবে পরোক্ষভাবে পেয়েছি। আমরা সরকারের মাধ্যমে কোনো ফান্ড নেইনি। আর পরোক্ষ সুবিধা বলতে সরকার যে ডিজিটালাইজড সিস্টেম চালু করেছে। এই প্রজেক্টটা ২০০৩ সালে শুরু করতে চেয়েছিল। একটা প্রজেক্ট শুরু করলে তার উপকরণ লাগে। ব্যাংকগুলো তখন এই বিষয়ে যে পেমেন্ট সিস্টেম সেটা চালু করেনি। এক সময় সরকার যখন পেমেন্ট সিস্টেম চালু করল। একে একে মোবাইল ব্যাংকিং এলো। তখন এই সুবিধাগুলো আমরা কাজে লাগাতে পেরেছি। মানে পদ্ধতিটা একে অপরের পরিপূরক। ওই সিস্টেমটা যদি না থাকত তাহলে এই সিস্টেমটা চালু করা যেত না।

একজন সাধারণ যাত্রী কিভাবে সেবা পেয়ে থাকেন?

তালুকদার সবুর আহমেদ: আমরা বর্তমানে যে সব সুযোগ সুবিধা দিচ্ছি তা তিনটা মডিউলে ভাগ করেছি। প্রথম হচ্ছে আমাদের দেশে যারা ভিসা মাস্টার কার্ড হোল্ডার, যারা বিকাশ বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টিকিট কাটতে পারে তারা বাস বিডি ডট বিডিতে সরাসরি ঢুকে টিকিট কাটতে পারে। ওনারা ঢুকে কোথা থেকে কোথায় জার্নি করবেন ডিটেইল। ওনারা বাসের চয়েজ, সিটের চয়েজগুলো করতে পারেন। ওনারা নিজে নিজে টিকিট কেটে এখান থেকে বের হয়ে যেতে পারেন। নিয়মটা হচ্ছে যিনি টিকিট কাটবেন তিনি যদি তাঁর মেইল আইডি দেন আমাদের সাইটে তাহলে ওনার মেইলে টিকিট চলে যাবে। একটা মোবাইল নাম্বার অবশ্যই দিতে হবে। আপনার একটা ভ্যালিড মোবাইল নাম্বার থাকতে হবে যেটা দিয়ে আমরা যোগাযোগ করতে পারব। তো ওই মোবাইলে একটা এসএমএস চলে যাবে। কাউন্টারে গাড়ি ছাড়ার পাঁচ মিনিট আগে গিয়ে মোবাইল নম্বরটা দেখালেই তারা জার্নি করতে পারবে। আর একটা সিস্টেম আছে। যারা এইভাবে কাটতে চাচ্ছে না তাদের জন্য চব্বিশঘন্টা আমাদের একটি কল সেন্টার আছে। কেউ যদি চায় কল সেন্টারে কল করে টিকিট বুকিং দিতে পারে।

তারপর আমাদের যে বিকাশ একাউন্ট আছে সেখানে টাকা পাঠালে সরাসরি ওনার টিকিট কনফার্ম করে দেব। এছাড়া টেকনোলজির দিক দিয়ে আমাদের প্রডাক্টটা ব্যাপকভাবে ছড়ানোর জন্য যারা নিম্ন আয়ের লোকজন তারাও কিন্তু বাসে যাতায়াত করে। প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ লোক এই ধরনের। আমরা বর্তমানে ৪০ হাজার এজেন্ট তৈরির কাজ করছি। মহল্লা বা পাড়ায় যেখানে বিকাশ বা মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা আছে সেখানে আমরা একটা অ্যাপস দিয়ে দিচ্ছি। যেভাবে বিকাশ করে ওইভাবেই সেখান থেকে বেসের টিকিটটা করা হবে। আর এটা কাউন্টার প্রাইজে পাবে। ঠিক এইভাবে যারা টিকিট কাটার পর মনে করেন কোনো কারণে টিকিট বাতিল করতে চায়। সেক্ষেত্রে একজন যাত্রী আমাদের অনলাইনে ঢুকেই তার টিকিট বাতিল করতে পারে। তারা ইনফর্ম করলে আমরা বাতিল করে দেয়। বিকাশ বা ব্যাংক একাউন্টে যে যেভাবে টাকা ফেরত নিতে চায় তাদের টাকা সেইভাবেই ফেরত দেওয়া হয়। ৪৮ ঘন্টা থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়া হয়। আমরা তার একটা লিস্ট তৈরি করি সেই অনুযায়ী টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাই।

রফিকুজ্জামান তাপস: আমরা তো এখন শুধু বাস নিয়ে কাজ করছি। লঞ্চও আছে। এরপর আমরা হোটেল ট্যুরিজম নিয়ে আসতে চাচ্ছি। ট্যুরিজমে যে প্যাকেজ সুবিধা দেওয়া হয় সেগুলো তো সেল করার দরকার আছে। আমরা ৪০ হাজার এজেন্ট পয়েন্ট থেকে যেন সেগুলো সেল করতে পারি। একদিক দিয়ে যেমন এই এজেন্টদের বিজনেজের বাড়তি স্কোপ হচ্ছে। শুধুমাত্র তারা বিকাশ করত এখন সেখানে আরো পাঁচ সাতটা প্রোডাক্ট পাচ্ছে। তাদের অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ থাকবে।

এই কাজটা কিভাবে করবেন?

তালুকদার সবুর আহমেদ: মূলত এখন সারা বাংলাদেশে এজেন্ট তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে আমাদের দুইশ জনের মতো লোক কাজ করছে। আমাদের কিছু এপিআই পার্টনার আছে মোবাইল ব্যাংকিং গুলোর। যেমন বাংলাদেশ সরকারের যে একসেস টু ইনফরমেসন আছে। আমরা তাদের সাথে অফিসিয়ালি অ্যাটাস্ট হয়েছি। আমরা আগামী পনেরো দিনের মধ্যে সারা বাংলাদেশে যে এজেন্টগুলো আছে তাদের ইম্পিলিমেন্ট করতে যাচ্ছি। আর শিওর ক্যাশ আছে ওরা আমাদের এপিআই পার্টনার। তো শিওর ক্যাশের এজেন্টরা আমাদের এজেন্ট হয়ে যাবে সেই ভাবে কাজ করা হচ্ছে। আর কিছু মার্কেটিং এজেন্সি ভাড়া করছি। তাদের দিয়ে ৩০০ জনের মতো লোক কাজ করছে। আসা করছি তাদের দিয়ে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার এজেন্ট আমরা তৈরি করতে পারব। তো যখন আমাদের কাজ ৫০ শতাংশ কম্পিলিট হয়ে যাবে তখন আমরা মোবাইল, ফেসবুক, মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়ে দেব যে আপনারা এখন আর বাস বা লঞ্চের টিকিট করতে কাউন্টারে যেতে হবে না। ঘরে বসেই করতে পারবেন। এজেন্টদের কাছ থেকেই টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।

দেশে আর কারা এভাবে সেবা দিচ্ছে?

তালুকদার সবুর আহমেদ: মার্কেটে আপনি যেমন থাকবেন আপনার কম্পিটিটরও থাকবে এটা স্বাভাবিক। ভবিষ্যতে আরো কম্পিটিটর তৈরি হবে এটা আশা করতেই পারি। কম্পিটিশন থাকলে পণ্যের কোয়ালিটি বাড়ে। এটা হলে ভোক্তারা ভালো প্রডাক্ট পায়। আজ আমরা আছি। দেখা যাবে আমাদের থেকে বড় কোনো প্রতিষ্ঠান চলে এসেছে। অনেকে এসে হারিয়ে যাবে। আমরা মনোপলিতে বিশ্বাসী নয়। আমরা মার্কেট পেয়ে হ্যাপি। আমাদের এখন চল্লিশটা বাস আছে আরো ভালো ভালো রুটের ১০টা বাস টার্গেটে রয়েছে। আমরা ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মার্কেটে এখন থাকতে চাইছি। আমরা এখন কখনই ১০০ ভাগ আশা করছি না। আমাদের বর্তমানে ৬৬ হাজার সিট আছে ডেইলি।

আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনা অনেক বেশি। এ নিয়ে কিছু করছেন?

রফিকুজ্জামান তাপস: আমরা এখানে কিছু কাজ করতে চাচ্ছি। আসলে এটা একটা বড় একটা সেক্টর তো। আগে অনেক অগোছালো ছিল। এটা এখন অনেক গোছালো হচ্ছে। কোন গাড়ি কবে চাকা লাগালো, কবে মবিল চেঞ্জ করছে, কবে পর্দা চেঞ্জ করছে, সিট ঠিক করলো। এগুলো আমাদের সফটওয়্যারের মাধ্যমে জানতে পারবে। আগে হাতে হাতে সব কিছু হতো এখন সব ডায়নামিক পদ্ধতিতে কে কত কমিশন পাচ্ছে, কি পাচ্ছে সব জানতে পারছে। আর একটা নতুন টেকনোলজি দিয়েছি। আইপি ক্যামেরা। এটার মাধ্যমে মাসের মালিক সব অবজার্ভেশন করতে পারবে। কতজন প্যাসেঞ্জার উঠলো, কত খালি আছে, কি অবস্থা সব জানতে পারবে। ওয়াইফাই আছে। আর দুর্ঘটনার বিষয়ে সফটওয়্যারের আওতায় আনতে পারিনি। যদি সুযোগ আসে আমরা সেটি নিয়েও কাজ করবো। আর অন্যান্য বিষয়ে সুযোগ সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আমরা আর একটা চিন্তা করেছি। যাত্রীদের ইনস্যুরেন্স দেওয়ার একটা চেষ্টা করব। আমরা ইনস্যুরেন্স কোম্পানিদের সাথে কথা বলছি। যদি কোনো যাত্রী দুর্ঘটনায় পতিত হয় বা নিহত হয় ওইসব ক্ষেত্রে কোনো প্যাকেজ সুবিধা দেওয়া যায় কি না সেটা নিয়ে আমরা ইনস্যুরেন্স কোম্পানিদের সাথে কথা বলছি। সেটা দেবার চেষ্টা করছি। যারা অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট কাটবে তারাই এই সুযোগ-সুবিধাটা পাবে।

সময় দেওয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।

মো. সিদ্দিকুর রহমান, তালুকদার সবুর আহমেদরফিকুজ্জামান তাপস: এই সময় পরিবারের সবাইকে আমাদের পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

(ঢাকাটাইমস/০৬নভেম্বর/এসএস/টিএমএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সাক্ষাৎকার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

সাক্ষাৎকার এর সর্বশেষ

‘স্থিতিশীল সামষ্টিক অর্থনীতির স্বার্থে সরকারকে ভারসাম্যমূলক নীতি-উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে’: ড. আতিউর রহমান

প্রতি মুহূর্তেই মনে হচ্ছিল আর্মিরা ধরে নিয়ে যাবে: ফরিদা খানম সাকি

দাম বাড়ালে এতক্ষণে কার্যকর হয়ে যেত: ক্যাব সহ-সভাপতি নাজের হোসাইন

জন্ম থেকেই নারীদের যুদ্ধ শুরু হয়: নারী উদ্যোক্তা ফরিদা আশা

নারীরা এখন আর পিছিয়ে নেই

ভবন নির্মাণে সিটি করপোরেশনের ছাড়পত্র নেওয়ার নিয়ম করা উচিত: কাউন্সিলর আবুল বাশার

তদারকি সংস্থা এবং ভবন নির্মাতাদের দায়িত্বশীল হতে হবে: অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান

বেইলি রোডের আগুনে রাজউকের ঘাটতি রয়েছে: মো. আশরাফুল ইসলাম

নতুন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে ভবন অনুমোদন দিতে হবে: ইকবাল হাবিব

বীমা খাতে আস্থা ফেরাতে কাজ করছি: আইডিআরএ চেয়ারম্যান জয়নুল বারী

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :