মোমিন হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স কার্যতালিকায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৭ নভেম্বর ২০১৭, ১২:১৩

জাসদ ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর নেতা, কমার্স কলেজের ছাত্র কামরুল ইসলাম মোমিন হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির জন্য কার্যতালিকায় এসেছে।

বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের মঙ্গলবারের কার্যতালিকায় মামলাটি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।

২০০৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইব্রাহিমপুরে নিজ বাড়ির কাছে খুন হন কলেজছাত্র মোমিন। এ ঘটনায় তার বাবা আবদুর রাজ্জাক ওসি রফিকসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ২০১১ সালের জুলাইতে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক মোমিন হত্যার দায়ে ওসি রফিকুল ইসলামসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। বাকি ছয় আসামিকে দেয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

ওসি রফিক ছাড়া অন্য যে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন- বরগুনার ছোট পাথর ঘাটার মো. আ. মোতালেবের ছেলে সাখাওয়াৎ হোসেন জুয়েল ও বরিশালের খালিসা উত্তর পাড়ার মোতাহার আলীর ছেলে জিয়া ওরফে তারেক। তারা দু'জনই পলাতক।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর ওসি রফিকুল ইসলাম মারা গেছেন।

বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- কাফরুলের মফিজুর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান তাজ, বরিশালের কয়েদি গ্রামের মোক্তার আলীর ছেলে মনির হাওলাদার, লক্ষ্মীপুরের নন্দনপুর গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে বাবু (বর্তমান ঠিকানা- উত্তর ইব্রাহীমপুর, কাফরুল), কাফরুলের হায়াত আলীর ছেলে মো. জাফর, একই এলাকার মহিউদ্দিনের ছেলে মো. শরীফ উদ্দিন এবং হাসিবুল ইসলাম জনি। এদের মধ্যে মনির, জনি, জাফর ও শরীফ পলাতক।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। জরিমানার অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে তাদের আরও ছয় মাস করে কারাভোগ করতে হবে।

বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২০০৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জাসদ ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর নেতা, কমার্স কলেজের ছাত্র মোমিনকে তাদের উত্তর ইব্রাহীমপুরের বাসার সামনে খুন করে দুষ্কৃতকারীরা।

ওই খুনের ঘটনায় প্রথম তদন্তে কাফরুল থানার তৎকালীন ওসি রফিকুল ইসলামের সম্পৃক্ততা পুলিশ এড়িয়ে গেলেও পরে বিচার বিভাগীয় তদন্তে তার সম্পৃক্ততার পাওয়া যায়।

ঘটনার দিনই মোমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক ওসি রফিকসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ওসি রফিককে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করলে বাদি নারাজি আবেদন করেন। এরপর গোয়েন্দা পুলিশের পুনঃতদন্তেও নারাজি আবেদন দেন বাদী। পরে বিচার বিভাগীয় তদন্তে ওসি রফিকসহ নয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ মেলে।

(ঢাকাটাইমস/০৭নভেম্বর/এমএবি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সাউথ এশিয়ান ল' ইয়ার্স ফোরাম ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল চ্যাপ্টারের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন

আদেশ প্রতিপালন না হওয়ায় চট্টগ্রামের ডিসি এসপিসহ চার জনকে হাইকোর্টে তলব

১১ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি ২৯ জুলাই

২৮ দিন পর খুলল সুপ্রিম কোর্ট

ব্যবসায়ী নাসিরের মামলা: পরীমনিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বোট ক্লাব কাণ্ড: পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

সেই রাতে ৮৭ হাজার টাকার মদ খেয়েছিলেন পরীমনি, পার্সেল না দেওয়ায় তাণ্ডব

বোট ক্লাব কাণ্ড: প্রতিবেদন দিল পিবিআই, ব্যবসায়ী নাসিরের মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন পরীমনি?

ড. ইউনূসকে স্থায়ী জামিন দেননি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল

সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনা: আসামিদের তিনদিনের রিমান্ড

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :