না.গঞ্জে ডাবল মার্ডার: বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৭ নভেম্বর ২০১৭, ১৯:৫৮

নারায়ণগঞ্জে ডাবল মার্ডারের ঘটনায় হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে বিএনপির শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন নিহত মিল্টনের পরিবার।

মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নিহতের পরিবার তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার কাশীপুরের হোসাইনিনগর এলাকাতে ডাবল মার্ডারের ঘটনায় মহনগর বিএনপির উপদেষ্টা এমএ মজিদ ও তার শহর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আহমেদের নির্দেশে ১০ লাখ টাকা বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহত তুহিন হাওলাদার মিল্টনের স্ত্রী মাজেদা বেগম। এসময় উপস্থিত ছিলেন মিল্টনের বড় মেয়ে মেহেরুন আক্তার, মেঝো মেয়ে মাইশা আক্তার, ছোট মেয়ে মরিয়ম মিম, খালাতো ভাই মোশারফ হোসেন ও সাইফুল তারেক।

তাদের দাবি, বিএনপি নেতা মজিদ ও হাসানের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করলে সব তথ্য পাওয়া যাবে। লিখিত বক্তব্যে মিল্টনের খালাতো ভাই সাইফুল তারেক বলেন, ‘এম এ মজিদ ও হাসান আহম্মেদের নির্দেশে মিল্টন ও পারভেজকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর আলামত নষ্ট করার জন্য ঘটনাস্থলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ১২ অক্টোবর রাতে মজিদ ও হাসান আহাম্মেদের মোবাইল ফোনের কথোপকথন ট্র্যাকিং করলেই সব দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে।

ইতোমধ্যে কিলিং মিশনে থাকা জুম্মন ও মাহবুব গ্রেপ্তার হয়েছে। মাহবুব আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা আদালতে জানিয়েছেন, এমএ মজিদের নির্দেশে মিল্টন ও পারভেজকে হত্যা করা হয়। কিন্তু ঘটনার ২৬ দিন অতিবাহিত হলেও ঘটনার মূল নায়ক এমএ মজিদ এবং হাসান আহম্মেদ রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।’

তিনি আরো বলেন, ‘শুরুতেই সন্ত্রাসীদের ভয়ে মামলা করতে পারিনি। ১৪ অক্টোবর ফতুল্লা মডেল থানা এসআই মাজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। কিন্তু সন্ত্রাসীরা ধারাবাহিকভাবে আমাদের পরিবার পরিজনদের হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে।

হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসাবে তিনি আরো বলেন, ‘মিল্টন তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ছায়াবৃত্ত শ্রমজীবী সমবায় সমিতির ঋণ বিতরণের ১০ লাখ টাকা রায়হান এবং দুলালের কাছে পাওনা ছিল। রহমানের ছেলে রাকিবের কাছে ৭ লাখ টাকা পাওনা ছিল। সেই পাওনা টাকা চাওয়ার কারণেই মূলত দুইজনকে হত্যা করা হয়। কারণ রায়হান, দুলাল এবং রাকিব এমএ মজিদ ও হাসান আহম্মেদের ঘনিষ্ঠজন। তাই যখনই মিল্টন টাকা দাবি করতো তখন মজিদ ও হাসান টাকা দেবে না বলে হুমকি ধমকি দিতো।’ গত ১২ অক্টোবর রাতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কাশীপুর হোসাইনিনগর এলাকাতে খুন হন তুহিন হাওলাদার মিল্টন ও পারভেজ আহমেদ। দুইজনই কাশীপুর হোসাইনি নগর এলাকাতে থাকতো। এ দুইজন সেখানে ‘ছায়াবৃত্ত শ্রমজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড’ চালাতেন। মিল্টন ছিল প্রতিষ্ঠানের মালিক আর পারভেজ ছিল ম্যানেজার।

(ঢাকাটাইমস/০৭নভেম্বর/প্রতিনিধি/ ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :