এতিমখানা দুর্নীতি মামলা: খালেদার আরেক আবেদন খারিজ
দুর্নীতি দমন কমিশনের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নয় সাক্ষীর জেরা ও দুই সাক্ষীর পুন:জেরা করার অনুমতি চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল খারিজ হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
গত ৬ নভেম্বর আবেদনটি উপর শুনানি শেষ হওয়ার পর ৯ নভেম্বর আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করেছিলেন আদালত। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জানান, খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ হয়ে গেছে। এখন মামলা তার নিজস্ব গতিতে চলবে।
গত ২২ অক্টোবর নয় সাক্ষীকে জেরা ও দুই সাক্ষীকের পুন:জেরা চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া করার আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া।
এর আগে গত সোমবার একই মামলায় বিচারিক আদালত পরিবর্তন চেয়ে করা খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে মামলাটির বিচার কাজ চলছে।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে মামলাটি করা হয়।
খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান।
(ঢাকাটাইমস/০৯ নভেম্বর/এমএবি/এমআর)