স্কুলের সেপটিক ট্যাংকে ছাত্রের লাশ, তিন শিক্ষার্থী আটক
কুমিল্লার হোমনায় নিখোঁজের পাঁচদিন পর স্কুলছাত্র জাহিদ হাসানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে হোমনা উপজেলার দুলালপুর চন্দ্রমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সেপটিক ট্যাংক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশম শ্রেণির তিন ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত জাহিদ হাসান হোমনা উপজেলার সাপলেজি গ্রামের আক্তারুজ্জামানের ছেলে। সে চন্দ্রমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
হোমনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রসুল আহম্মেদ জানান, পাঁচ দিন আগে সন্ধ্যায় জাহিদ হাসানকে একজন লোক তার বাড়ির সামনে থেকে ডেকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী দুলালপুর বাজারের একটি ঘরে নিয়ে যায়। পরে তাকে গলাটিপে হত্যার পর মরদেহ চন্দ্রমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়।
হাসান নিখোঁজ হওয়ার পর তার বাবা হোমনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে তার চাচার মুঠোফোনে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি মেসেজ ও একটি কল আসে। এর ভিত্তিতে পুলিশ বুধবার সকালে ওই স্কুলের তিনজন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে আটক করে। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে। তাদের দেয়া তথ্যমতে স্কুলের সেপটিক ট্যাংক থেকে জাহিদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় জাহিদের বাবা আক্তারুজ্জামান বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকাটাইমস/৯নভেম্বর/প্রতিনিধি/এমআর