নিখোঁজের সাত মাস পর মিলল দেহাবশেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৯ নভেম্বর ২০১৭, ২০:৩৩

নিখোঁজের সাত মাস পর র‌্যাবের অভিযানে নিখোঁজ ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেনের সন্ধান মিলল সাভারের আশুলিয়ার বড় ওয়ালিয়া গ্রামের একটি গরুর খামারে। তবে জীবিত নয়, মৃত ওই ব্যক্তির হাড়গোড় ও মাথার খুলি উদ্ধার করেছে র‌্যাব সদস্যরা। এ ঘটনায় হত্যার দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নিহতের বন্ধু খামারের কেয়ারটেকার নাছির উদ্দিন দিপু ও একই খামারে কর্মরত নারী মুর্শিদা আক্তার শিউলিকে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভারের আশুলিয়ার বড় ওয়ালিয়া গ্রামের এনায়েত করিমের গরুর খামারে পুঁতে রাখা অবস্থায় নিখোঁজ বিল্লালের ত্রিখণ্ডিত দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়। এসময় নিহতের স্বজনদের আহাজারিতে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

নিহত বিল্লাল হোসেন মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানাধীন বরুন্দিকান্দা গ্রামের মৃত গাহের আলীর পুত্র। তিনি কৃষিকাজের পাশাপাশি ইট ও বালু সরবরাহের ব্যবসা করতেন। গ্রেপ্তার নাছির উদ্দিন দিপু মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার চরতিল্লী গ্রামের মৃত খবির উদ্দিনের ছেলে। গ্রেপ্তার অপরজন মুর্শিদা আক্তার শিউলী নাটোর জেলার সিংরা থানার ডাহিয়া গ্রামের বাদল হকের মেয়ে। তার স্বামীর নাম আয়নাল হক।

নিহতের স্ত্রী রোকেয়া আক্তার ও বড় ভাই নায়েব আলী ঢাকাটাইমসকে বলেন, গত ১৩ এপ্রিল ধামরাইয়ের আহাদ ব্রিকস নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে আশুলিয়ার জিরানী এলাকায় ইট সরবরাহের কাজের কথা বলে বিল্লাল বাইরে আসার পর নিখোঁজ হন। এরপর থেকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনার পরদিন ধামরাই থানায় নিখোঁজ জিডি করা হলেও সাত মাস পর বৃহস্পতিবার আশুলিয়ার বড় ওয়ালিয়া গ্রামের এনায়েত করিমের গরুর খামারে পুঁতে রাখা অবস্থায় বিল্লালের দেহাবশেষের সন্ধান পান তারা। পরে র‌্যাবের সহযোগিতায় বিল্লালের ত্রিখণ্ডিত দেহাবশেষ মাটি থেকে তোলা হয়।

র‌্যাব-৪ (সিপিসি-২) এর কমান্ডার মেজর হাকিম জানান, শুধুমাত্র লক্ষাধিক টাকার লোভে বন্ধু নাছির উদ্দিনের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন বিল্লাল।

তিনি আরো বলেন, নাছির উদ্দিন আশুলিয়ার বড় ওয়ালিয়া গ্রামের এনায়েত করিমের গরুর খামারে কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করত। আর ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসনকে পরিকল্পিতভাবে সেখানেই খুন করা হয়। এই খুনে নাছির উদ্দিনকে সহযোগিতা করে একই খামারের নারী কর্মী মুর্শিদা আক্তার।

র‌্যাব কর্মকর্তা আরো বলেন, খুন করার পর সব আলামত ও মৃতদেহ মাটিতে পুঁতে রাখা হয়। এসময় নিহত বিল্লালের ব্যবহৃত সিম ও রক্তাক্ত জামাকাপড় আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় বলেও জানান তিনি।

এরপর থেকে দীর্ঘদিন নিহত বিল্লালের ব্যবহৃত মোবাইল সেটটি বন্ধ ছিল। সম্প্রতি নাছির উদ্দিন ওই মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করার ফলে র‌্যাবের বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধীকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এর জের ধরে ৯ নভেম্বর ভোর রাতে নাছির উদ্দিন ও মুর্শিদা আক্তারকে সাভারের চাপাইন এলাকা থেকে আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দুপুরে র‌্যাব, আশুলিয়া থানা পুলিশ ও গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে ওই খামারের ভেতর থেকে পুঁতে রাখা বিল্লালের ত্রিখণ্ডিত দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়।

তবে কেন বিল্লাল ওই খামার বাড়িতে এসেছিলেন ও এ ঘটনার সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা সে আসামিদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যাবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

(ঢাকাটাইমস/৯নভেম্বর/আইআই/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :