ভারত-পাকিস্তানের খাবারে দুর্গন্ধ, বাড়িভাড়া দিতে চাননি ব্রিটিশ নাগরিক
ভারত, পাকিস্তানের খাবারে দুর্গন্ধের অভিযোগে এনে এই দুই দেশের নাগরিকদের বাড়িভাড়া দিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন ব্রিটেনের এক বাড়ির মালিক। সম্প্রতি নিজের দেশের ভাড়াটে পলিসির বিরুদ্ধে গিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ঘটনা শেষ পর্যন্ত গড়ায় আদালতে।
ব্রিটেনের মানবাধিকার রক্ষা কমিশনের সঙ্গে জোর টক্করের পর অবশেষে হার মানলেন তিনি।গত বুধবার তার এই নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং বেআইনি বলে জানিয়েছে মেডস্টোন কান্ট্রি কোর্ট।
৬৯ বছরের ফার্গুস উইলসন। দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের কেন্ট-এ তার এক হাজারের বেশি বাড়ি রয়েছে। সেগুলি তিনি ভাড়া দিয়ে থাকেন। একটি এজেন্সি তার বাড়ি ভাড়া দেখাশোনা করে।
চলতি বছরের মার্চে ওই এজেন্সিকে উইলসন চিঠি দিয়ে জানান, তিনি তার সম্পত্তিতে কোনও ভারতীয় বা পাকিস্তানি ভাড়াটে রাখতে চান না। কারণ তাদের রান্না দুর্গন্ধ ছড়ায়। যা তার সম্পত্তির মূল্য কমিয়ে দিচ্ছে। কোনও ভারতীয় বা পাকিস্তানি ভাড়াটে বাড়ি ছাড়ার পরও রান্নার দুর্গন্ধ বাড়িতে থেকে যাচ্ছে। সেই বাড়িতে অন্য ভাড়াটে পাওয়া যাচ্ছে না। ভাড়াটে মিললেও অনেক কম টাকা দিচ্ছেন তারা।
এই ঘটনা জানার পরই ব্রিটেনের সমতা রক্ষা এবং মানবাধিকার কমিশন মেডস্টোন কান্ট্রি কোর্টে মামলা করে। উইলসনকে বর্ণবিদ্বেষী সম্বোধন করেন কমিশনের আইনজীবী।
বিচারককে তিনি জানান, ব্রিটেনের সমাজ এই বর্ণবিদ্বেষকে মান্যতা দেয় না। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলের জন্যই একই নিয়ম থাকা উচিত। নিজের পক্ষে উইলসনও বিচারককে বোঝানোর চেষ্টা করেন, তিনি বর্ণবিদ্বেষী নন। শুধুমাত্র ব্যবসায়িক স্বার্থেই তিনি ভারতীয় এবং পাকিস্তানি ভাড়াটে রাখতে চান না। দু’পক্ষের কথা শোনার পর উইলসনের চাপিয়ে দেয়া এই পলিসিকে বেআইনি ঘোষণা করেন বিচারক।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
(ঢাকাটাইমস/১০নভেম্বর/এসআই)