ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ভাতায় ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের ১, ২, ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য (মহিলা মেম্বার) মেহের নিগার প্রতিবন্ধীর ভাতার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, চান্দ্রেরচর গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের মনু মিয়ার মেয়ে প্রতিবন্ধী নাজমা বেগম, ফয়জল হকের ছেলে প্রতিবন্ধী মো. নাদিম ও ওই ওয়ার্ডের খাসকান্দি গ্রামের হানিফের মেয়ে প্রতিবন্ধী ফুলবানু সম্প্রতি বালুচর শাখা সোনালী ব্যাংক থেকে মহিলা মেম্বার মেহের নিগারকে সাথে নিয়ে প্রত্যেকে ৭ হাজার ২শ টাকা করে প্রতিবন্ধী ভাতা উত্তোলন করেন। সেখান থেকে মেহের নিগার মেম্বার বিভিন্ন খরচ দেখিয়ে প্রতিবন্ধী নাজমার কাছ থেকে ৪ হাজার ২শ টাকা, মো. নাদিমের কাছ থেকে ৩ হাজার ২শ টাকা এবং ফুলবানুর কাছ থেকে ৩ হাজার ২শ টাকা উৎকোচ নেন।

প্রতিবন্ধী নাজমা জানান, আমি অচল মানুষ। ভিক্ষা করে খাই। মেম্বার আমাকে ব্যাংকে নিয়ে নিজেই আমার ৭ হাজার ২শ টাকা উঠিয়ে আমার হাতে ৩ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে ভয় দেখিয়ে বলেন- কেউ যাতে না জানে। বিভিন্ন জায়গায় স্যারদের টাকা দিতে হবে, এই জন্য বাকি টাকা রেখে দিলাম।

প্রতিবন্ধী নাদিমের বাবা জানান, টাকা উঠানোর দিন প্রতিবন্ধী নাদিমের সাথে তার মা ও ব্যাংকে যায়। মেম্বার নিজ হাতে টাকা উঠিয়ে নাদিমের মায়ের হাতে ৪ হাজার টাকা তুলে দিয়ে বলেন বাকি টাকা বিভিন্ন অফিসারদের দেয়ার জন্য কেটে রাখা হয়েছে।

নাদিমের বাবা আরো জানান, বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে মেম্বার আমাদের বাড়িতে আসেন এবং নাদিমের মাকে বলেন- বড় স্যার আপনার সাথে কথা বলবে। কিন্তু প্রতিবন্ধী নাদিমের মা ওই স্যারের সাথে ফোনে কোন কথা বলেননি।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মেহের নিগার মেম্বার জানান, আমি তাদের কাছ থেকে এমনি কোন টাকা-পয়সা নেইনি। শুধু প্রতিবন্ধী নাজমাকে টাকা ধার দিয়েছিলাম, সেই টাকা নিয়েছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানবীর মোহাম্মদ আজিম বলেন, আমি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব। তবে এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে বিষয়টি খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আজিজুর রহমান মাসুদ জানান, মহিলা মেম্বার মেহের নিগারের বিরুদ্ধে বয়স্ক ভাতা নিয়ে মৌখিকভাবে একটা অভিযোগ পেয়েছি। প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যাপারে যদি অভিযোগের সত্যতা পাই, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

(ঢাকাটাইমস/১০নভেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)