বাসের কমতি নেই: মালিক সমিতি

এম গোলাম মোস্তফা, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০১৭, ১৪:১৬ | প্রকাশিত : ১২ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:০৫

হঠাৎ করে ঢাকামুখী দূরপাল্লার বাস প্রায় বন্ধ এবং নগর পরিবহন কমে যাওয়ার পরও বাস মালিকদের সংগঠনের দাবি, যান চলাচল স্বাভাবিক। আর এ কারণেই শহরে যানজট রয়েছে বলে দাবি করেছেন সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ।

রবিবার সকাল ঢাকার আশেপাশের জেলা থেকে রাজধানীমুখী বাস বন্ধ রয়েছে। পূর্ব ঘোষণা না থাকলেও টার্মিনালে গিয়ে যাত্রীরা ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে। যাদের জরুরি কাজ রয়েছে, তারা ছোট ছোট যানবাহনে ভেঙে ভেঙে কখনও দীর্ঘ পথ হেঁটে গন্তব্যে আসছে।

নগরের ভেতরেও বাস চলাচল অন্যান্য দিনের তুলনায় কম বলে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। হঠাৎ এমন পরিস্থিতি কেন হয়েছে, সে বিষয়ে পরিবহন মালিক সমিতি বা সরকার কোনো ব্যাখ্যা দিচ্ছে না।

বিএনপি অভিযোগ করছে, তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে সরকারের নির্দেশে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে সরকারের কেউ এ নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি এখনও।

বিষয়টি নিয়ে জানতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘রাজধানীতে গণপরিবহণের কোনো সল্পতা নাই, সকল পরিহন চলছে স্বাভাবিক। আমার সামনেই এই মোড়েইতো যানজট লেগেছে। রাজধানীতে গাড়ির কোনো স্বল্পতা নাই। আমরা কাউকে বাস বন্ধ করার নির্দেশ দেইনি।’

তবে খন্দকার এনায়েত উল্লাহর বক্তব্যের সঙ্গে অফিসগামী মানুষের অভিযোগের কোনো মিল নেই। সকাল থেকেই রাজধানীর রায়েরবাগ, যাত্রাবাড়ী, গাবতলী, টঙ্গী, বাবুবাজারসহ শহরে ঢুকার রাস্তায় হাজার হাজার অফিসগামী যাত্রীকে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। কিন্তু অন্যান্য দিনের তুলনায় বাস আসছে খুবই কম। যেগুলো আসছে, সেগুলোর প্রতিটিকে যাত্রীর ভিড় এত বেশি যে নতুন করে উঠার সুযোগ নেই বললেই চলে।

এই পরিস্থিতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কিবরিয়া ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বিএনপির সমাবশে যারা আসার তারা এসে পড়েছে। এ অবস্থায় গাড়ি বন্ধ করে দিয়ে মালিকরা সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলেছে। অফিস যাওয়া আমাদের জন্য অনেক কষ্টকর হয়ে পড়েছে।’

একটি প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিং এ কর্মরত রোমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘গাড়ি না থাকা কি যে সমস্যায় পরেছি, রিপোটিং করার কথা নয়টায়, এখন সাড়ে দশটা এখনও যাত্রাবাড়ীতেই। হেঁটেই যেতে হচ্ছে।’

সাভার থেকে চিটাগাং রোডের সাইনবোর্ড পর্যন্ত চলাচলকারী লাব্বাইক পরিবহনের একজন চালক বলেন, ‘আমাগো একটা সীমানা দিয়ে দিছে। ১২টা পর্যন্ত চালাতে বলেছে। এরপর বাস বন্ধ থাকবে বলেছে।’

কে এই নির্দেশ দিয়েছে জানতে চাইলে ওই চালক বলেন, ‘মালিক দিছে।’ কেন নির্দেশ দিয়েছে-এমন প্রশ্নে ওই চালক বলেন, ‘যদি বাসের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়, এই কারণে এই নির্দেশ দিছে।’

বাস বন্ধ থাকলেও ট্রেনগুলি স্বাভাবিকভাবেই কমলাপুর রেল স্টেশনে আসছে এবং ছেড়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে সব কয়টি ট্রেন সময় মতো স্টেশনে এসেছে, সবকয়টি ট্রেন ছেড়ে গেছে।’

ঢাকাটাইমস/১২নভেম্বর/জিএম/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজধানী এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :