ছয় মাস পর সাগরে নেমেই বিকল কেয়ারি সিন্দাবাদ

কক্সবাজার প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর ২০১৭, ২০:২৪

প্রায় সাড়ে ছয় মাস পর কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটে শুরু হয়েছে জাহাজ চলাচল। তাই প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পর্যটকদের আগ্রহের কমতি ছিল না। কিন্তু প্রথম দিনেই হোঁচট খেল পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদ। সময় মতো জাহাজ ছাড়তে না পারা ও মাঝ সাগরে ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় প্রায় ৩০০ পর্যটককে।

সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ওই পর্যটকবাহী জাহাজটি টেকনাফ ঘাট থেকে ছেড়ে গেলেও সেন্টমার্টিনে পৌঁছে নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় ১ ঘণ্টা পরে। এতেও শেষ হয়নি ভোগান্তি আর দুর্ভোগের। সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় আরো ১ ঘণ্টার মতো সময় গভীর সাগরে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে পর্যটকদের।

পর্যটকদের ভোগান্তির কথা স্বীকার করলেও পুরোপুরি নিজেদের ওপর দায় নিতে রাজি নন কেয়ারি সিন্দাবাদের টেকনাফের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহ আলম।

তিনি ঢাকাটাইমসকে জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় টেকনাফ থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও আমরা (শাহ আলম) প্রথমদিন উপলক্ষে ছেড়ে গেছি প্রায় ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে। যে কারণে সাড়ে ১১টায় পৌঁছার কথা থাকলেও সেন্টমার্টিন পৌঁছতে সময় লেগে গেছে সাড়ে ১২টা।

তিনি আরো বলেন, আসার পথে ইঞ্জিন পানি না পাওয়ার কারণে ২০/৩০ মিনিট জাহাজ বন্ধ ছিল। তবে আমাদের জাহাজে দুইটি ইঞ্জিন থাকার কারণে বিকল্প ইঞ্জিন ব্যবহার করার সুযোগ ছিল।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বাংলাদেশে অবৈধভাবে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ নিয়ে প্রায় সাড়ে ৬ মাস বন্ধ রাখা হয়েছিল টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-চলাচল। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সেমাবার প্রথম বারের মতো যাত্র শুরু করে হোচঁট খায় কেয়ারি সিন্দাবাদ।

সোমবার কেয়ারি সিন্দাবাদ করে সেন্টমার্টিন যাওয়া চট্টগ্রাম খুলশি এলাকার দম্পতি আরিয়ান কামাল ঢাকাটাইমসকে বলেন, প্রশাসনের গাফিলতির কারণে ৩০০ পর্যটককে প্রখর রোদে সাগরে পুড়তে হয়েছে। প্রশাসন অনুমতি দেয়ার আগে যদি জাহাজটির ফিটনেস পরীক্ষা করে দিত তাহলে এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হত না।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক ঢাকাটাইমসকে বলেন, অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) মাধ্যমে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেই তাদেরকে চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রথম দিনেই সাগরের মাঝ পথে যদি পর্যটক ভোগান্তির শিকার হয় তাহলে অবশ্যই সঠিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মুকিম খান ঢাকাটাইমসকে বলেন, জাহাজ চলাচলের প্রথম দিনেই যদি অভিযোগ ওঠে তাহলে পর্যটক সেন্টমার্টিন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। এই ক্ষেত্রে প্রশাসনকে কঠোর হওয়া জরুরি।

এ ব্যাপারে সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর মুহাম্মদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, সেন্টমার্টিনের লোকজন পর্যটন ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল। আর পর্যটক হচ্ছে দ্বীপের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। তাই আমরা আশা করব সর্বদায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রোডে জাহাজ চলাচল অব্যাহত থাকবে। তবে সে ক্ষেত্রে প্রশাসনকে অবশ্যই পর্যটকদের সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৩নভেম্বর/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :