উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএড-এমএড কোর্স নেকটার থেকে না সরানোর দাবি

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর ২০১৭, ২১:৩৪

জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা অ্যাকাডেমি (নেকটার) বগুড়া থেকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত বিএড ও এমএড কোর্স বন্ধের জন্য আবেদন করেছে। ফলে এই কোর্সের প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী চরম বিপাকে পড়েছেন। নেকটার বগুড়া শাখার এমএড কোর্সের সমন্বয়কারী এস এম ফেরদৌস আলম আগস্টের ২৮ তারিখে বাংলাদেশ উন্মক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট চিঠি পাঠিয়েছেন।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নেকটারের কার্যক্রম দিন দিন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই তুলনায় অবকাঠমোগত কোন উন্নয়ন হয়নি। ফলে বিএড এমএড কোর্স চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তারা নেকটার থেকে কোর্সটি সরিয়ে আগামী বছরের শুরুতে অন্যত্র সরানোর অনুরোধ করেছেন।

এই চিঠির কথা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে জানাজানি হলে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা কোর্সটি চালু রাখার জন্য নেকটার কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন। শিক্ষার্থীদের কথায় নেকটার কর্তৃপক্ষ কান না দেয়ায় উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থী চরমভাবে বিপাকে পড়েছেন। শিক্ষার্থীরা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট পাল্টা চিঠি দিয়েছেন। সেই সাথে বগুড়া জেলা প্রশাসকের নিকটেও স্মরকলিপি প্রদান করেছে।

এছাড়াও বগুড়ার নেকটারে তাদের কোর্স এবং পরীক্ষাকেন্দ্র রাখার দাবিতে বিএড এমএড এর শিক্ষার্থীরা মানববন্ধ করেছে।

ধুনট ভান্ডারবাড়ি স্কুলের শিক্ষিকা সাদিয়া আফরিন জানান, তিনি বিএড দ্বিতীয় সেমিস্টারে অধ্যয়নরত আছেন। তার ব্যাচে ৩৫৫ জন শিক্ষার্থী আছে। নেকটার যদি এই কোর্স বন্ধ করে দেয় তাহলে তাদের পরবর্তী পরীক্ষা রাজশাহী গিয়ে দিতে হবে। বগুড়া থেকে রাজশাহীতে গিয়ে পরীক্ষা দেয়া তার মত অনেক নারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব নয়।

এদিকে নেকটারে কোর্সটি শেষ করালোর জন্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর আলম, চঞ্চলকুমার কু-ু, ইমরান হোসেন জানান, বাংলাদেশ উন্মক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনের নেকটারে বর্তমান বিভিন্ন সেমিস্টারে দেড় হাজার শিক্ষার্থী আছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ নারী শিক্ষার্থী আছেন। নেকটার যদি তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে তাহলে এসব শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অন্ধাকার হবে। বগুড়ার এই ক্যাম্পাসে বাড়ি থেকেই সবাই ক্লাস এবং পরীক্ষায় অংশ নিতে পারতেন। ফলে সহজেই চাকরির পাশাপাশি এই ডিগ্রি অর্জন করতে পেরেছে অনেকেই। তাদের দাবি নেকটার যেন তাদের সিদ্ধান্ত তুলে নিয়ে কোর্সটি চালু রাখার ব্যবস্থা করে।

(ঢাকাটাইমস/১৩নভেম্বর/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :