সিনহার পদত্যাগপত্রে রাষ্ট্রপতির সই

প্রকাশ | ১৪ নভেম্বর ২০১৭, ১১:৪১ | আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৭, ১৬:৪৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। মঙ্গলবার সকালে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নুল আবেদিন ঢাকাটাইমসকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গতকাল সোমবার রাতে রাষ্ট্রপতি  সিনহার পদত্যাগপত্রে সই করেছেন। ১০ নভেম্বর থেকে সিনহার পদত্যাগ কার্যকর হবে।

এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে বঙ্গভবন। তবে সেই চিঠি এখনো আইন মন্ত্রণালয় পায়নি।

জানতে চাইলে আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘আমি এখনো বঙ্গভবনের চিঠি পাইনি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘বঙ্গভবনের চিঠি আমরা এখনো পাইনি। চিঠি পেলে এ বিষয়ে আমি কথা বলব। আর চিঠি আমি দেখিনি। এ কারণে বলতে পারছি না কী কারণ উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন।’

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা কানাডা যাওয়ার পথে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনে গতকাল শুক্রবার রাষ্ট্রপতি বরাবর পদত্যাগপত্রটি জমা দিয়েছেন। পদত্যাগপত্রটি শনিবার বঙ্গভবনে এসে পৌঁছে।

ছুটিতে থাকা প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা গত শুক্রবার সিঙ্গাপুর থেকে কানাডা গেছেন। তিনি চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে গত ৬ নভেম্বর রাতে সিঙ্গাপুরে পৌঁছান। কানাডায় প্রধান বিচারপতির ছোট মেয়ে আশা সিনহা রয়েছেন।

প্রধান বিচারপতির ছুটির মেয়াদের শেষ দিন ছিল ১০ নভেম্বর। তিনি গত ১৩ অক্টোবর রাতে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। অস্ট্রেলিয়ায় তিনি বড় মেয়ে সূচনা সিনহার বাসায় ওঠেন।

এর আগে গত ২ অক্টোবর এক মাস ছুটির কথা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর চিঠি পাঠান প্রধান বিচারপতি। এর মেয়াদ ছিল ১ নভেম্বর পর্যন্ত। ছুটিতে থাকা অবস্থায় প্রধান বিচারপতির ১৩ অক্টোবর বা কাছাকাছি সময়ে বিদেশে যাওয়ার এবং ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বিদেশে থাকার ইচ্ছা পোষণের বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করতে ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। গত ১০ অক্টোবর বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে পাঠানো ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয় ১২ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করে।

এ হিসাবে গত ১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ছুটির মেয়াদ শেষ হয়।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার পূর্ণাঙ্গ রায় গত ১ আগস্ট প্রকাশিত হয়। ওই দিনই পূর্ণাঙ্গ রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়। রায় প্রকাশের পর এ নিয়ে সরকার ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সংক্ষুব্ধ হয়। বিশেষ করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিলেন মন্ত্রী, দলীয় নেতা ও সরকারপন্থী আইনজীবীরা। তাঁরা প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিও তোলেন।বিচারপতি এস কে সিনহার ৩৯ দিনের ছুটি গত শুক্রবার শেষ হয়েছে। তিনি বর্তমানে কানাডায় তার ছোট মেয়ের বাসায় অবস্থান করছেন।

২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। আগামী বছর ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত তার মেয়াদ ছিল।

(ঢাকাটাইমস/১৪নভেম্বর/এমএম/জেডএ)