কাকরাইলে মা-ছেলে হত্যায় মুক্তার স্বীকারোক্তি

প্রকাশ | ১৪ নভেম্বর ২০১৭, ১৮:৩২

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর কাকরাইলে মা ও ছেলেকে গলাকেটে হত্যা মামলায় নিহতের স্বামী আবুল করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমীন আক্তার মুক্তা আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

অন্যদিকে দুই দফায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে নিহতের স্বামী আবুল করিমকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) আলী হোসেনের আবেদন অনুযায়ী মুক্তার স্বীকারোক্তি রেকর্ড করেন ঢাকা মহানগর হাকিম মোহা. আহসান হাবীব। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

অন্যদিকে ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল হক আসামি আব্দুল করিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সর্বশেষ গত ১০ নভেম্বর ওই দুই আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এর আগে গত ৩ নভেম্বর তাদের ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

মামলাটিতে গত ৯ নভেম্বর এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী শারমীন আক্তার মুক্তার ভাই আল আমিন ওরফে জনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গত ৫ নভেম্বর এ আসামির ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। চার দিন রিমান্ড শেষ হওয়ার পরই তিনি স্বীকারোক্তি করেন। গত ৩ নভেম্বর দিবাগত রাতে গোপালগঞ্জ থেকে এ আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৩।

গত ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় কাকরাইলের আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম রোডের ৭৯/এ বাড়িতে শামসুন্নাহার (৪৫) ও তার ছেলে শাওনকে (ওলেভেল শিক্ষার্থী)  গলাকেটে হত্যা করা হয়। নিহতের স্বামী আবদুল করিম পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী। তিনি আঁদা-রসুন- পেঁয়াজ আমদানিকারক। ওই ঘটনায় গত ২ নভেম্বর নিহত শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় নিহতের স্বামী আব্দুল করিম, করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমীন মুক্তা, মুক্তার ভাই জনিসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৪নভেম্বর/আরজেড/জেবি)