জঙ্গিদের জামিনে সতর্ক হওয়ার প্রত্যয় বিচারকদের

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৪ নভেম্বর ২০১৭, ২২:০৬

জঙ্গিদের প্রতি কোনো অনুকম্পা দেখানো হবে না এবং তাদের জামিন দেয়ার ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিচারকরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জঙ্গি হামলায় নিহত বিচারক জগন্নাথ পাঁড়ে ও সোহেল আহমেদের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের জগন্নাথ সোহেল স্মৃতি মিলনায়তনে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে এই স্মরণসভায় ঢাকা জেলা জজ আদালত, মহানগর দায়রা জজ আদালত, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকসহ অন্যান্য জুডিশিয়াল সার্ভিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এতে বক্তব্য দেন জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এসএম কুদ্দুস জামান, মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা, আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) ও অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বিকাশ কুমার সাহা, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার গোলাম রাব্বানী, মহাপরিদর্শক (নিবন্ধন) আব্দুল মান্নান খান, যুগ্ম সচিব মাহবুবার রহমান সরকার, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আরা বেগম, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট শেখ হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জাহিদুল কবির, আইন মন্ত্রনালয়ের উপসচিব মহসিনুল হক প্রমুখ। এছাড়া জগন্নাথ পাঁড়ের বড় ভাই বিশ্বনাথ পাঁড়েও সভায় বক্তব্য দেন।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা ও দায়রা জজ এসএম কুদ্দুস জামান বলেন, ‘ইসলাম ধর্মে কোনো শ্রেণি বিভাগ নেই। পরধর্মের প্রতি সহিষ্ণুতা ইসলামের শিক্ষা। কিন্তু জঙ্গিবাদের কাজ হলো অন্য ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানো। ধার্মিকরা কখনো হিংস্র হতে পারে না। তাদের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে তারা মারা গেলেই বেহেশতে চলে যাবে। এদের প্রতিহত করতে হবে।’

মহানগর দায়রা জজ কামাল হোসেন মোল্লা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিই সেদিন বিচারকদের ওপর হামলা করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়ভাবে জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করে চলেছেন।’

ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বিকাশ কুমার সাহা বলেন, ‘জঙ্গিবাদ শুরুই হয়েছিল বিচার বিভাগকে আঘাত করার মাধ্যমে। যারা জঙ্গিবাদকে উসকে দেয়, জঙ্গিবাদকে ধারণ ও লালন করেন তাদের প্রতিহত করতে হবে। জঙ্গিদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। তাদের কোনো জামিনের ব্যাপারে কোনো অনুকম্পা দেখানো যাবে না। আমরা বিচার বিভাগ অনুকম্পা না দেখিয়েই জঙ্গিবাদ রুখতে ভূমিকা পালন করতে পারি।’ স্মরণসভা শেষে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া পরিচালনার করা হয।

২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে ঝালকাঠিতে জেএমবির বোমা হামলায় বিচারক জগন্নাথ পাঁড়ে ও সোহেল আহমেদের নিহত হন।

২০০৬ সালের ২৯ মে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সাত আসামির ফাঁসির আদেশ দেন। ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ পলাতক আসামি আসাদুল ইসলাম আরিফ ব্যতীত দেশের বিভিন্ন আদালতে শীর্ষ ছয় জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৪নভেম্বর/আরজেড/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমারকে কারাগারে পাঠালেন আদালত

৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম

বিচারপতির আসনে ছাদ বেয়ে পানি, বিচারকাজ বন্ধ ১৮ মিনিট

আগাম জামিন পেলেন অ্যাডভোকেট যুথিসহ চার আইনজীবী

জামিন নিতে এসে রায় শুনে পালিয়ে গেলেন হলমার্ক কেলেঙ্কারির আসামি

তিন মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ

হলমার্ক কেলেঙ্কারি: তানভীর ও তার স্ত্রীসহ নয়জনের যাবজ্জীবন

সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারি: নাহিদ সুলতানা যুথীর জামিন শুনতে নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ

পি কে হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়ানোর আবেদন দুদকের

ড. ইউনূসের সাজা ও দণ্ড স্থগিতের আদেশ হাইকোর্টে বাতিল

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :