চট্টগ্রামে ৪৬ হাজার ইয়াবা উদ্ধার, ছয়জন গ্রেপ্তার

ব্যুরো প্রধান, চট্টগ্রাম
| আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০১৭, ০৮:৪৬ | প্রকাশিত : ১৫ নভেম্বর ২০১৭, ১৯:৫৫

চট্টগ্রামে ৪৬ হাজার ৪৯৫টি ইয়াবাসহ ছয় পাচারকারী ও বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। চট্টগ্রাম র‌্যাব-৭, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ দপ্তর ও গোয়েন্দা পুলিশ মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত পৃথক অভিযান পরিচালনা করে।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মিমতানুর রহমান জানান, কক্সবাজার হতে চট্টগ্রামমুখী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের মাধ্যমে বিপুলসংখ্যক ইয়াবা আসার খবর পেয়ে স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়াত জামিল ফাহিম-এর নেতৃত্বে মঙ্গলবার রাত আড়াইটায় নগরীর কর্ণফুলী সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এসময় গতিবিধি সন্দেহজনক হলে র‌্যাব সদস্যরা শ্যামলী পরিবহনের বাসটিতে (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-১৭৬২) তল্লাশি করতে থাকে। এ সময় গতিবিধি সন্দেহ হওয়ায় বাসটির সুপারভাইজার ও তার সহকারীর প্যান্টের পকেট তল্লাশি করে এক হাজার ৬০০টি ইয়াবা পাওয়া যায়। এ সময় সুপারভাইজার মো. সহিদ মজুমদার শান্ত ও মো. আব্দুল আওয়াল প্রামাণিককে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরবর্তীতে তাদের দেয়া তথ্যমতে, বাসটির ভেতরে সুকৌশলে লুকানো অবস্থায় আরও ৮ হাজার ৪০০টি ইয়াবা ট্যাবলেটসহ সর্বমোট ১০,০০০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এসময় বাসটিও জব্দ করা হয়। উদ্ধার ইয়াবা ট্যাবলেটের আনুমানিক মূল্য ৫০ লাখ টাকা এবং গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে কর্ণফুলী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে বলে জানায় র‌্যাব।

এছাড়া চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ এলাকা থেকে ৩৫ হাজার ইয়াবাসহ এক মাদকবিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ইয়াবা বিক্রেতার নাম একরাম। তিনি কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের নূরুল ইসলামের ছেলে।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-পশ্চিম) এএএম হুমায়ুন কবির জানান, একরাম দীর্ঘদিন ধরে মোটরসাইকেলের তেলের ট্যাংকে বিশেষ চেম্বার তৈরি করে ইয়াবা রেখে বিক্রি ও পাচার করে আসছিলেন। গোপন খবরে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে মোটরসাইকেলসহ একরামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাকে তল্লাশি করে ইয়াবা পাওয়া যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে মোটরসাইকেলের তেলের ট্যাংক থেকে ৩৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরো জানান, তেলের ট্যাংকটি বিশেষ প্রক্রিয়ার দুই ভাগ করা ছিল। প্রথম ভাগে দুই লিটার তেল রাখার জায়গা রয়েছে। আর দ্বিতীয় ভাগের বাকি জায়গায় বিশেষ চেম্বার তৈরি করে ইয়াবা রাখা হয়েছে। এই কৌশলে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে একরাম এর আগেও অনেকবার ইয়াবা পাচার করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ কর্মকর্তারা।

এদিকে মঙ্গলবার ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আমানবাজার এলাকা থেকে ৪৯৫ ইয়াবাসহ তিন বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. ইমরান হোসেন, নাজমুল আহসান ও আতিকুর রহমান।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক জাকির হোসেন জানান, গোপন সংবাদে ক্রেতা সেজে ইয়াবা বিক্রেতাদের সাথে বেশ কয়েকদিন থেকে যোগাযোগ করে আসছিলাম। মঙ্গলবার ভোরে ইয়াবা নেয়ার জন্য আমান বাজারে আসতে বলে আমাদের। সেখানে যাওয়ার পর হাতেনাতে তিন ইয়াবা বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয় ৪৯৫টি ইয়াবা। এ ঘটনায় হাটহাজারী থানায় মামলা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৫নভেম্বর/আইকে/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :