খুব শিগগির বাণিজ্যিক এয়ারক্রাফট উৎপাদনে যাচ্ছে পাকিস্তান

প্রকাশ | ১৫ নভেম্বর ২০১৭, ২০:৩৫ | আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৭, ২০:৩৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির জন্য খুব শিগগির বাণিজ্যিকভাবে এয়ারক্রাফট উৎপাদনে যাচ্ছে পাকিস্তান। আরব আমিরাত ভিত্তিক গণমাধ্যম খালিজ টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন পাকিস্তান অ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্স(প্যাক)’র এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এয়ার মার্শাল আহমের শাহজাদ।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত ‘দুবাই এয়ার শো ২০১৭’-এ পাকিস্তানের একটি প্যাভিলিয়নের নেতৃত্ব দিচ্ছে আহমের শাহজাদ। প্রদর্শনীতে পাকিস্তানের তৈরি অত্যাধুনিক সুপার মুশকাক এবং জেএফ-১৭ থান্ডার এয়ারক্রাফট প্রদর্শন করা হচ্ছে।

পাকিস্তান অ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্স ১০ থেকে ৩০ আসন বিশিষ্ট বাণিজ্যিক এয়ারক্রাফট তৈরি করার কথা বিবেচনা করছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের কারণে বাণিজ্যিক কার্যক্রম এখন অনেক বেড়ে গেছে। তাই অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে আমাদের দ্রুতগতির এবং দক্ষ বিমান পরিবহন ব্যবস্থা প্রয়োজন। আমরা মধ্যপ্রাচ্যে এবং মধ্য এশিয়ায় আন্তর্জাতিক চাহিদার বিষয়টিও মাথায় রাখছি।’

বাণিজ্যিক এয়ারক্রাফটের বাজারে প্রতিযোগিতার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শাহজাদ জানান, খুব তাড়াতাড়িই বাণিজ্যিকভাবে এয়ারক্রাফট তৈরির কাজ শুরু করবে পাকিস্তান।

তিনি বলেন, ‘আমরা সুপার মুশশাক এয়ারক্রাফট তৈরি করেছি এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজারে সেটা সফলভাবে বিক্রি করতে সক্ষমও হয়েছি। টেকসই রসদ ও রক্ষণাবেক্ষণসহ যদি এই এয়ারক্রাফট আমরা কম খরচে তৈরি করতে পারি তাহলে খুব সহজেই আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হব।’

এয়ার মার্শাল শাহজাদ বলেন, সুপার মুশশাক এয়ারক্রাফটির যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। এটি প্রশিক্ষণের জন্যও ব্যবহার করা যাবে। আমরা এখন পাকিস্তান বিমান বাহিনীর চাহিদা পূরণ করছি। তবে আমরা রপ্তানির জন্যও এয়ারক্রাফট তৈরি করতে পারব। এই মুহূর্তে বছরে ২০টি জেএফ-১৭ এয়ারক্রাফট তৈরি করছি আমরা।’

এয়ারক্রাফট রপ্তানির জন্য ইতিমধ্যে তুরস্ক, কাতার, নাইজেরিয়া এবং আজেরবাইজানের সঙ্গে চুক্তি করেছে পাকিস্তান অ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্সের।

(ঢাকাটাইমস/১৫নভেম্বর/এসআই)