বনানী হত্যা: মুখোশধারীরা ঢুকেই বলে ক্যাশ কোথায়
রাজধানীর বনানীতে জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এস মুন্সী ওভারসিজে হামলার ভিডিও ফুটেজ থেকে চার মুখোশধারীর জড়িত থাকার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। ওই প্রতিষ্ঠানের এক কর্মচারী জানান, মুখোশধারীরা ঢুকেই জানতে চায় ক্যাশ কোথায় থাকে।
ওই হামলায় নিহত প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. সিদ্দিক হোসেনের ময়নাতদন্ত আজ বুধবার বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেসেম্পন্ন হয়। সেখানে সাংবাদিকদের ওই কথা জানান সিদ্দিকের প্রতিষ্ঠানের জাফর নামের একজন কর্মচারী।
এর আগে ময়নাতদন্ত শেষে ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, নিহত সিদ্দিক হোসেনের শরীরে দুটি গুলি পাওয়া গেছে। একটি গুলি সিদ্দিকের বুকের বাম দিক দিয়ে ঢুকে ডান অংশে আটকে ছিল। আরেকটি গুলি তার হাত বিদ্ধ করে বেরিয়ে গেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে উপস্থিত ছিলেন সিদ্দিকের ভাই আবদুল লতিফ। ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের কারণ জানতে চাইলে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান সাংবাদিকদের।
মর্গে আরও উপস্থিত ছিলেন এস মুন্সী ওভারসিজে প্রতিষ্ঠানের দুজন কর্মচারী হোসাইন আহমেদ ও জাফর। মঙ্গলবার রাতে ওই প্রতিষ্ঠানে দুর্বৃত্তদের হামলার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন তারা। তখনকার বর্ণনা দিয়ে জাফর বলেন, ‘চারজন মুখোশধারী অফিসে ঢুকেই ক্যাশ কোথায় থাকে জানতে চায়। অফিসের কেউ একজন জানায় টাকা ব্যাংকে জমা থাকে। এ কথা শুনে দুর্বৃত্তরা গালাগালি করে এবং এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে।
হামলার পর ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এবং ওই সময় সেখানে থাকা কয়েকজনের কাছ থেকে পাওয়া বর্ণনায়ও মুখোশধারী চার হামলাকারীর কথা জানা গেছে।
এই ঘটনায় সিদ্দিকের স্ত্রী জোৎস্না বেগম আজ সন্ধ্যায় অজ্ঞাতপরিচয় চারজনকে আসামি করে মামলা করেন বানানী থানায়।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থল থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুটেজ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বনানী চার নম্বর সড়কের ১১৩ নম্বর বাড়ির নিচতলায় সিদ্দিকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হানা দেয় দুর্বৃত্তরা। দুর্বৃত্তরা সেখানে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে সিদ্দিকসহ চারজন আহত হন।
আহতদের গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সিদ্দিক। আহত তিন কর্মচারী মুখলেস, মোস্তাক ও পারভেজ বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
নিহত সিদ্দিক টাঙ্গাইলের কালিহাতীর পাড়ক্ষি মধ্যপাড়ার আনছার আলীর ছেলে। তিনি পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় বসবাস করতেন।
(ঢাকাটাইমস/১৫নভেম্বর/মোআ)