ন্যায়বিচার পাওয়ার সংশয় নিয়েই জবানবন্দি দিচ্ছি: খালেদা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০১৭, ১৮:৫১ | প্রকাশিত : ১৬ নভেম্বর ২০১৭, ১৮:৪৪

দেশে এখন ন্যায়বিচারের বদলে ‘নাই বিচারের’ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ন্যায়বিচার পাবেন কি না সেই সংশয় নিয়েই আদালতে জবানবন্দি দিচ্ছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার বকশীবাজারে পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে দেয়া বক্তব্যে এই সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।

আত্মপক্ষ সমর্থনে আজ পঞ্চম দিনে প্রায় এক ঘণ্টা বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। তবে আজও তার বক্তব্য শেষ হয়নি। তার আবেদনে বিচারক মো. আখতারুজ্জামান ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত মামলার শুনানি মুলতবি করেন। গত ১৯ অক্টোবর প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন তিনি। এরপর ৯ নভেম্বর চতুর্থ দিনের মতো বক্তব্য দেন।

শুরু থেকেই খালেদা জিয়া এই মামলায় তার সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে এ মামলা ভুয়া ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে তার দাবি।

বৃহস্পতিবার বক্তব্য দিতে গিয়ে খালেদা জিয়া তার ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। এর কারণ বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি দেশের বিচার বিভাগের পরিস্থিতি এবং প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার পদত্যাগের প্রসঙ্গেও কথা বলেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘ক্ষমতাসীনদের পছন্দের রায় না দেওয়ার কারণে প্রধান বিচারপতির এমন ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে, সেখানে অন্য বিচারকদের সামনে ন্যায়বিচারের সুযোগ ও পরিবেশ কি আর থাকতে পারে? এই পরিস্থিতিতে দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর জনগণের কতটা আস্থা থাকতে পারে?’

খালেদা জিয়া বলেন, ‘শাসক মহলের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে দেশে এখন ন্যায়বিচারের বদলে সৃষ্টি হয়েছে নাই বিচারের পরিবেশ। আমার আশঙ্কার জায়গা হচ্ছে- দেশে ন্যায়বিচারের পরিবেশ ও সুযোগ তারা (সরকার) ধ্বংস করে দিয়েছে। কাজেই আদালতের কাছে আমি ন্যায়বিচার পাব কি না- সেই সংশয় নিয়েই এ মামলায় আমাকে জবানবন্দি দিতে হচ্ছে।’

তার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩৬টি মামলা হয়েছে বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে এসব মামলা করা হয়েছে তা জনগণের কাছে স্পষ্ট- এমন দাবি করে তিনি বলেন, ‘শাসকদল তাদের অপকর্ম ও অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সব রকমের কারসাজির আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ আতঙ্কগ্রস্ত করে ফেলা হয়েছে। সে কারণে অনেকেই বলছেন দেশে সুবিচার ও ন্যায়বিচারের কোনো সুযোগ ও পরিবেশ আজ আর নেই।’

জিয়া চ্যারিটেবল ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা প্রসঙ্গে জিয়া-পত্নী বলেন, এই দুই সংগঠনের কোনো পদে তিনি ছিলেন না। অনুদানের অর্থ আনা বা বিতরণের সঙ্গেও ব্যক্তিগতভাবে বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার কোনো রকম সংশ্লিষ্টতা ছিল না। তিনি বলেন, ‘এই মামলায় আমাকে কেন অভিযুক্ত করা হয়েছে তাও আমার বোধগম্য নয়।’

ট্রাস্টের কেউ কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নন উল্লেখ করে খালেদা জিয়া ট্রাস্টের বিষয়ে দুদকের মামলা করা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘ট্রাস্টের কেউ কোনো অনিয়ম বা আইন অমান্য করলে তার ব্যাপারে ট্রাস্ট আইনে অভিযোগ বা মামলা হতে পারে। দুদক কীভাবে ট্রাস্টের কথিত অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাপারে মামলা করে? এটা কী তাদের আওতা বা এখতিয়ারে পড়ে? ’

তবে ওই দুই সংগঠনে কোনো রকম দুর্নীতি হয়নি বলে দাবি করে খালেদা জিয়া।

(ঢাকাটাইমস/১৬নভেম্বর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমারকে কারাগারে পাঠালেন আদালত

৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম

বিচারপতির আসনে ছাদ বেয়ে পানি, বিচারকাজ বন্ধ ১৮ মিনিট

আগাম জামিন পেলেন অ্যাডভোকেট যুথিসহ চার আইনজীবী

জামিন নিতে এসে রায় শুনে পালিয়ে গেলেন হলমার্ক কেলেঙ্কারির আসামি

তিন মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ

হলমার্ক কেলেঙ্কারি: তানভীর ও তার স্ত্রীসহ নয়জনের যাবজ্জীবন

সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারি: নাহিদ সুলতানা যুথীর জামিন শুনতে নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ

পি কে হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়ানোর আবেদন দুদকের

ড. ইউনূসের সাজা ও দণ্ড স্থগিতের আদেশ হাইকোর্টে বাতিল

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :