রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি

বেরোবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ নভেম্বর ২০১৭, ২০:০১

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শিক্ষকদের সংগঠন প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ ও নীল দল একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এনে মানববন্ধন করেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নীল দলকে উদ্দেশ্য করে ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার অভিযোগ এনে মানববন্ধন করেন প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ। পরে বিকালে নীল দলের সভাপতি ড. শফিক আশরাফ ও সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মানববন্ধনে নীল দলের প্রতি কটাক্ষ ও বিরূপ মন্তব্য করার প্রতিবাদে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানানো হয়।

গত ১৪ নভেম্বর নীল দলের আয়োজনে উপাচার্যের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে মানববন্ধন করা হয় এবং ১৫ নভেম্বর রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্যাম্পাসে নীল দলের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার অভিযোগ এনে মানববন্ধনের আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ।

প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সদস্য সচিব রাফিউল আজম খানের সঞ্চালনায় ও আহবায়ক আবু কালাম মোহাম্মদ ফরিদ উল ইসলামের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. গাজী মাজহারুল আনোয়ার, রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এইচ.এন তারিকুল ইসলাম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সাইদুর রহমান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধান, পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রশীদুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগে প্রভাষক অবিনাশ চন্দ্র সরকার প্রমুখ।

বক্তারা অভিযোগ করেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় যখন সুন্দরভাবে চলছে তখন একটি মহল বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। আগামী ২৬-৩০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করছে। এমন অবস্থা চললে ইমেজ সংকটে পড়বে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

নতুন উপাচার্য যোগদানের পর থেকে নানান সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে দাবি করে বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, জামায়াত-শিবিরের দোসররা তাদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য সুকৌশলে পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান উপাচার্য বিগত উপাচার্যদের চেয়ে অনেক বেশি আন্তরিক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে কাজ করছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলেও দাবি করেন বক্তারা। কেউ যদি আর কখনো এই ক্যাম্পাসে আন্দোলন করার চেষ্টা করে- তাহলে সে আন্দোলন কঠোর হস্তে দমন করার হুমকিও দেন বক্তারা।

এদিকে মানববন্ধনে নীল দল সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য ও কটাক্ষ করার অভিযোগ এনে প্রতিবাদে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দাজ্ঞাপন করেছে নীল দল। বৃহস্পতিবার বিকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিন্দা জানায় দলটি।

বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয় মানববন্ধনে শিক্ষকদের বক্তব্য প্রমাণ করে, নীল দলের উল্লিখিত মানববন্ধন ও স্মারকলিপি কর্মসূচির পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের পক্ষে কোনরূপ দাবি না জানিয়ে শুধু নীল দলকে প্রতিপক্ষ বিবেচনা করে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কটাক্ষ ও বিরূপ মন্তব্য করা হয়েছে। যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষকদের প্রতি কটাক্ষ করে তাদের শিষ্টাচার বর্হিভূত বক্তব্য আমাদের ভীষণভাবে আহত করেছে।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, শিক্ষকরা তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করার স্বার্থে পাঠদান ও গবেষণায় সময় না দিয়ে রাজনীতিতে সময় ব্যয় করছে। এতে করে আমাদের ৬ মাসের সেমিস্টার ১০ মাসেও শেষ করতে পারছি না। নিজেদের মধ্য এমন হীনমনোভাব না রেখে শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে কিভাবে এগিয়ে নেয়া যায় সে-লক্ষ্যে একসাথে কাজ করার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

(ঢাকাটাইমস/১৬নভেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :