হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি নির্বাচনে প্রভাব ফেলার শঙ্কা সংসদে

প্রকাশ | ১৬ নভেম্বর ২০১৭, ২১:৩৫ | আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৭, ২১:৪৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর সিদ্ধান্তে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একাধিক সাংসদ। তারা আশঙ্কা করেছেন নির্বাচনের আগে এ ধরনের সিদ্ধান্ত সরকারের প্রতি মানুষের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। অধিবেশনের তখনকার সভাপতি ডেপুটি স্পিকারও এতে একমত পোষণ করে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আশা করেছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে আলোচনার সূত্রপাত করেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু হোসেন বাবলা। এরপর একই বিষয়ে বক্তব্য দেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘ট্যাক্স বাড়বে এটা অস্বাভাবিক কিছু না, তাই বলে হঠাৎ করে নয় গুণ বাড়ানো হলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে। এটি পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজেও টিভিতে দেখেছি বেশ কিছু লোক এ ব্যাপারে সমালোচনা করেছেন। ট্যাক্স বাড়বে এটা অস্বাভাবিক কিছু না, সবকিছুই দিন দিন বাড়ে। সম্ভবত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কয়েক বছর ধরে ট্যাক্স বাড়ান না। কিন্তু সেটা যদি একসঙ্গে বাড়ানো হয় সেটা মানুষ গ্রহণ করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমরা রাজনীতি করি। রাজনীতির কতগুলো সময় থাকে। যে বিষয়টি তিন-চার বছর আগে করা যেত, সেটা যদি সরকারের শেষ সময় এসে করে, তাহলে প্রতিক্রিয়া হতে বাধ্য। মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে আমার পক্ষে সবকিছু বলা সম্ভব নয়।’

ঢাকা শহরে হোল্ডিং ট্যাক্সের ব্যাপারে দেড় থেকে দুই কোটি মানুষ অত্যন্ত অসহায়ত্বের মধ্যে রয়েছে উল্লেখ করে আবু হোসেন বাবলা বলেন, ‘জলাবদ্ধতার কারণে এমনিতেই মানুষ দিশেহারা। তার মধ্যে এই হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো যৌক্তিক নয়। মেয়ররা যদি হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ান তাহলে কাউন্সিলরদের তার জবাব দিতে হয়। নির্বাচনের বাকি আর মাত্র একটি বছর। বাস্তবে আর আছে ৬-৭ মাস। এতে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।’

জাতীয় পার্টির আরেক সদস্য জিয়াউদ্দীন বাবলু বলেন, ‘চট্টগ্রামেও গৃহকর বাড়ানো হয়েছে। এর বিরুদ্ধে মহল্লায় মহল্লায় আন্দোলন হচ্ছে। এটি একটি রাজনৈতিক সরকার। এর আগে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। এক বছর পর নির্বাচন। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বেশি দাম আর বাড়তি কর নিয়ে জনগণের সামনে যেতে হবে। রাজনৈতিক সরকারকে সঠিক রাজনৈতিক বিবেচনা করতে হবে। এ বিষয়গুলো স্পর্শকাতর। নির্বাচনের সময় সঠিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলুর বক্তব্যের পর ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া বলেন, ‘নির্বাচনের আগে বা পরে বিষয় নয়, দশ বছর পর একবারে দশ গুণ কর বাড়ানো গ্রহণযোগ্য নয়।  অবশ্যই সরকার এই বিষয়টি বিবেচনা করবে।’

(ঢাকাটাইমস/১৬নভেম্বর/এনআই/মোআ)