ঠাকুরগাঁওয়ে ড্রাগন চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০১৭, ১০:৫৯ | প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর ২০১৭, ০৯:২০

উৎপাদন ব্যয় কম, বাজারে দাম বেশি এবং চাহিদাও অন্যান্য ফলের চাইতে বেশি হওয়ায় ঠাকুরগাঁওয়ে ড্রাগন ফলের চাষ বাড়ছে। বিভিন্ন রোগের মহৌষধ এবং খেতেও সুমিষ্ট হওয়ায় এটি চাষে কৃষকের মধ্যে বেশ উৎসাহ দেখা যাচ্ছে।

জেলার হরিপুর, পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল, বালিয়াডাঙ্গী ও সদর উপজেলাসহ পাঁচটি উপজেলায় এখন ড্রাগন ফলের চাষ করছে স্থানীয় চাষিরা। নতুন এ ফলের চাষাবাদ দেখে অন্যান্য চাষিরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। আর এ ফল চাষে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের উৎসাহ দেয়া হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও হর্টিকালচারের তথ্যমতে, জেলার পাঁচটি উপজেলায় প্রায় চার একর জমিতে ১০টি প্রদর্শনী প্লটে ড্রাগন ফলের চাষ করা হয়েছে। প্রতিটি গাছে ৭০-৮০টি করে ফল এসেছে। এ ফল উৎপাদনে কীটনাশক ও সারের খরচ কম। জৈব সার দিয়েই এ ফল চাষাবাদ করা সম্ভব।

ড্রাগন ফল কমপক্ষে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ড্রাগন ফল খেলে ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেসারসহ বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে ড্রাগন ফল চাষ করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভুমিকা রাখা সম্ভব।

সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের কৃষক মাজেদুর রহমান ঢাকাটাইমসকে জানান, ড্রাগন ফল একটি নতুন ফল। এ ফল চাষে খরচ কম লাভ বেশি। তার কারন হচ্ছে জৈব সারেই গাছ বেড়ে উঠে। তেমন একটা রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হয় না। ১০ ফুট অন্তর অন্তর একসাথে চারটি গাছ রোপন করতে হয়।

গাছের সাথে দিতে হয় খুঁটি। চারটি গাছ জড়িয়ে রাখে একটি খুঁটিতে। মূলত এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মাসে দুই বার ফল সংগ্রহ করা যায় প্রতিটি গাছ হতে। মাঠ থেকেই ৪০০ টাকা কেজি দরে ফল বিক্রি হচ্ছে। এটি একটি লাভজনক ফল। একটি গাছ লাগানোর পর ৫০ বছর পর্যন্ত এ গাছ ফল দেয় বলে জানান কৃষি বিভাগ। হর্টিকালচার বিভাগ থেকে চারা নিয়ে জেলার কৃষকরা রোপন করছে। ফলে দিন দিন এ ফলের চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জেলা হর্টিকালচার বিভাগের বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আ. রহিম ঢাকাটাইমসকে জানান, আমরা গত দুই বছর ধরে এ ফল চাষে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করে আসছি। প্রথমে বিনামূল্যে চারা দিয়ে কৃষককে সহায়তা দেয়া হয়েছে। এ ফল চাষে এখন বেশ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কেএম মাউদুদুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে জানান, ড্রাগন ফল চাষাবাদে জেলার হর্টিকালচার বিভাগ প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করে। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পরবর্তী সময়ে সবধরনের পরামর্শ দিচ্ছি। এ ফল লাভজনক হওয়ায় কৃষকরাও এটি চাষাবাদে দিনদিন উৎসাহী হয়ে উঠছে। আমরা আশা করছি আগামী মৌসুমে ড্রাগন ফল চাষে শত শত কৃষক অংশ নেবে।

(ঢাকাটাইমস/১৭নভেম্বর/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :