পাবনায় নিখোঁজের দুই মাস পর কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার

প্রকাশ | ১৭ নভেম্বর ২০১৭, ১৯:০৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা

নিখোঁজের প্রায় দুই মাস পর পাবনার সুজানগরে রবিউল ইসলাম নামে এক কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের উলাট গ্রামের মামুন শেখের বাড়ি থেকে তার গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে অপরহরণ ও হত্যার সাথে জড়িত মূল আসামি রবিউলের বন্ধু মামুন শেখসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে পরিকল্পিত এ হত্যা বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার মামুন উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের উলাট গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক শেখের ছেলে। গ্রেপ্তার অন্য চারজন হলেন- একই গ্রামের হৃদয়, শাহিন, মমিন ও মিঠু।

পুলিশ ও স্বজনরা জানান, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন সুজানগর উপজেলার মালিফা-সেলিম রেজা হাবিব ডিগ্রি কলেজের বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মানিকহাট ইউনিয়নের উলাট গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে রবিউল ইসলাম। ২১ সেপ্টেম্বর ভোরে পরিবারের লোকজন দেখতে পায় রবিউল তার ঘরে নেই। খোঁজ না পেয়ে পরদিন ২২ সেপ্টেম্বর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন রবিউলের বাবা আব্দুল মালেক। এরমধ্যে মোবাইলে ফোন করে ও এসএমএস দিয়ে রবিউলের পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। টাকা না পেলে রবিউলকে হত্যার হুমকিও দেয় তারা।

এদিকে ৫ অক্টোবর নিখোঁজ রবিউলের বড় ভাই নজরুল ইসলাম হৃদয় নামে এক যুবককে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলার পর বিভিন্ন সময় এজাহারনামীয় আসামি হৃদয়সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে ও মোবাইল ট্র্যাকিং করে মূল আসামি মামুন শেখকে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে শুক্রবার সকালে মামুনের শোবার ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা রবিউলের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ সময় পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) গৌতম কুমার বিশ্বাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  (সদর সার্কেল) ইবনে মিজান, শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপার সালমা সুলতানা আলম, সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবাইদুল হক, তদন্ত অফিসার বেলাল হোসেন, ডিবির এসআই অসিত কুমার উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির জানান, প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে কলেজছাত্র রবিউলকে প্রথমে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে অচেতন করে তার বন্ধু প্রতিবেশী মামুন শেখ। পরে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সে। লাশ গুম করতে ঘরের মেঝেতে তিন থেকে চার ফুট মাটি খুঁড়ে লাশ সেখানে চাপা দিয়ে রাখে। তদন্ত চলছে। রবিউল হত্যার পেছনে আর কোনো কারণ আছে কিনা তা খুঁজে দেখা হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৭নভেম্বর/এলএ)