নান্দাইল ও গফরগাঁওয়ে গণহত্যা দিবস পালন
গফরগাঁও উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের গণহত্যা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার জুমার পর মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা মেজর (অব.) রেজাউল করিমের উদ্যোগে তা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- অরসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী আ. করিম, মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন, সাবেক মেম্বার সাইফুল ইসলাম, শীষ মো. মাসুদ প্রমুখ।
একাত্তরের ১৫ নভেম্বর পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর বাহিনী গফরগাঁও উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের ৩৫টি পাড়ায় নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে আগুনে দিয়ে সাড়ে ৫ শতাধিক বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এছাড়াও নির্বিচারে গুলি করে ৪৭ জন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে। হত্যাযজ্ঞ থেকে বাদ যায়নি মসজিদের মুসল্লিসহ অবুঝ শিশুরাও।
অপরদিকে নান্দাইলে মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ দিবসে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালযয়ে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়।
নান্দাইল মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল কাইয়ুম ঢাকাটাইমসকে জানান, ১৯৭১ সালের এদিনে নান্দাইলকে হানাদারমুক্ত করতে পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সাড়ে চারঘণ্টা সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধারা। এ যুদ্ধে শামছুল হক ও ইলিয়াস উদ্দিনসহ চারজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। গুরুতর আহত হন মুক্তিযোদ্ধা বিদ্যুৎ প্রসাদ রায় ও সুশীল কুমার সাহা। ওইদিন আব্দুল মোতালিব আকন্দ, মাজহারুল হক ফকির ও এবি ছিদ্দিকের নেতৃত্বে নান্দাইল থানাকে হানাদার ও রাজাকারমুক্ত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা।
(ঢাকাটাইমস/১৭নভেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)