সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০১৭, ১২:২৩ | প্রকাশিত : ১৮ নভেম্বর ২০১৭, ০৮:৫৯

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নাগরিক সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সমাবেশ সফল করতে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় তা উদযাপন করতে আয়োজিত এই নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

শনিবার বেলা আড়াইটায় শুরু হতে যাওয়া এই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন বলে জানা গেছে।

বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় এই সমাবেশের আয়োজন করেছে ক্ষমতাসীন দল। অবশ্য দলের ব্যানারের জনসভার বদলে নাম দেয়া হয়েছে নাগরিক সমাবেশ।

গত রবিবারের বিএনপির সমাবেশে যত লোক হয়েছিল, তার চেয়ে বেশি জনসমাগম দেখিয়ে ক্ষমতাসীনদের প্রতি মানুষদের সমর্থনের প্রমাণ করতে ও শক্তি দেখাতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। সমাবেশে প্রচুর পরিমাণ লোক সমাগমের জন্য বেশ কয়েকদিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলটি।

সমাবেশের জন্য ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার ভোর থেকে সমাবেশের জন্য অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করা হচ্ছে। সমাবেশস্থলে ৭ মার্চের ভাষণ প্রদানরত বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন লাগানো হয়েছে। মাইক প্রস্তুতে কাজ চলছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, সমাবেশস্থলটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। ৭ মার্চের ভাষণ সম্বলিত ব্যানার ফস্টুন লাগিয়ে পুরো এলাকা মুড়ে দেয়া হয়েছে। বড় বড় ব্যানারে শোভা পাচ্ছে ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণের ছবি। রমনা পার্কের দেওয়ালে ৭ মার্চের পুরো ভাষণ খণ্ড খণ্ড ব্যানারে লেখে দেয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশনের ডিজিটাল বিজ্ঞাপন স্ক্রিনে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ দেখা যাচ্ছে।

সূচি অনুযায়ী বেলা আড়াইটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই নাগরিক সমাবেশ শুরু হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমিরেটাস আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেবেন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, শহীদ বুদ্ধিজীবী আব্দুল আলীম চৌধুরীর স্ত্রী শ্যামলী নাসরীন, সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার, শিক্ষাবিদ জাফর ইকবাল, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর কান্ট্রি ডিরেক্টর বিট্রিস কালদুল।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির সমবেত সঙ্গীতের পর শুরু হবে একক সঙ্গীত। কিরণ চন্দ্র রায়ের স্ত্রী চন্দনা মজুমদার লোক সঙ্গীত গাইবেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় থাকবেন অভিনেতা রামেন্দু মজুমদার ও শহীদ বুদ্ধিজীবী আবদুল আলীম চৌধুরীর মেয়ে নুজহাত চৌধুরী।

এদিকে সমাবেশের কার্যক্রম সমন্বয় করার জন্য নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী, হারুন-অর-রশিদ ও অসীম কুমার উকিল।

সমাবেশ সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ব্যাপকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি। ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর সঙ্গে যৌথসভা করা হয়েছে। আলাদা আলাদাভাবে যৌথসভা করছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগ।

নগর নেতারা বিভিন্ন থানা শাখা্য়ও বর্ধিত সভা করছে। এছাড়াও যৌথসভা করছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ ও জাতীয় শ্রমিক লীগ। এছাড়া সমাবেশকে ঘিরে রাজধানীতে মাইকিং করা হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/১৮নভেম্বর/এমএবি/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

বর্তমান সরকারই ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর 

বিএনপি নেতাদের বানোয়াট কথা শুনে জিয়াউর রহমান কবরে শুয়ে লজ্জা পায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আ.লীগ বিদেশিদের দাসত্ব করে না: ওবায়দুল কাদের 

বাংলাদেশে একদিন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবেই, তখন আ. লীগ থাকবে না: আমিনুল হক

উপজেলা নির্বাচন ঘিরে তৃণমূল আ.লীগে বাড়ছে দ্বন্দ্ব

সরকারের এমপিরা ঘোষণা দিয়ে লুটপাট শুরু করেছে: এবি পার্টি

বদরের চেতনায় লড়াই অব্যাহত রাখার আহ্বান ছাত্রশিবির সভাপতির

আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ফখরুলের

বিএনপির ভারত বিরোধিতা মানুষের কষ্ট বাড়ানোর নতুন সংস্করণ: নাছিম

ভোট ডাকাত সরকারকে সমর্থনকারী দেশের পণ্য বর্জন ন্যায়সঙ্গত: রিজভী

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :