প্যারাডাইস পেপারস কেলেঙ্কারিতে বিএনপি নেতা মিন্টুর নাম

প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:০৪ | আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:৫০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সাম্প্রতিক সময়ে ফাঁস হয়ে যাওয়া সবচেয়ে বড় কর কেলেঙ্কারি প্যারাডাইস পেপারসে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টু এবং তার পরিবারের সদস্যদের নাম উঠে এসেছে।

এক সপ্তাহ আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সরকারের লোকজনের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ আনার এক সপ্তাহের মধ্যেই এই নাম প্রকাশ হলো।

মিন্টু ছাড়াও তার স্ত্রী নাসরিন ফাতিমা আউয়াল এবং তিনপুত্র তাবিথ আউয়াল, তাফসির আউয়াল ও তাজওয়ার মোহাম্মদ আউয়ালের নাম আছে এই তালিকায়। মিণ্টুর নাম এসেছে তাজওয়ারের অভিভাবক হিসেবে।

মিন্টুর পরিবার ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন বাংলাদেশির নাম আছে এই তালিকায়, যার সংখ্যাটা মোট ১০। বিএনপি নেতা ও তার স্বজন ছাড়া অন্যরা গলেন ফয়সাল চৌধুরী, ফরিদা মুঘল, শহীদ উল্লাহ এবং সামির আহমেদ। তবে এখন পর্যন্ত এদের কারও পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।

গ্যাস অনুসন্ধান ও ড্রিলিং কোম্পানি এনএফএম এনার্জি লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডার হিসেবে প্যারাডাইস পেপারসে এদের নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে।

এক সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত থাকা মিন্টু ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপিতে যোগ দেন। দুই বছর আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তাকে মেয়র পদে সমর্থন দিয়েছিল বিএনপি। পরে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হলে মিন্টুর ছেলে তাবিথ আউয়ালকে সমর্থন দেয় বিএনপি। তিনি বাংলাদেশ ফুডবল ফেডারেশনের সঙ্গেও জাড়িত।

এ ব্যাপারে আব্দুল আউয়াল মিন্টুকে দুইবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা সহ বিশ্বের প্রায় ১৮০ টি দেশের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, রাজনিতীবিদের নাম আছে প্যারাডাইস পেপারসে। নিজ দেশে কর ফাঁকি দেয়ার জন্য, কর দিতে হয়না বা দিলেও খুবই স্বল্প হারে দিতে হয় এমন দেশে(ট্যাক্স হ্যাভেন) নিজেদের অর্থ  বিনিয়োগ করে রেখেছেন।

এই পেপারসে তাদের নাম এসেছে যারা নিজ দেশে যাঁরা কর থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন ট্যাক্স হেভেনে (কর দিতে হয় না কিংবা খুবই নিম্ন হারে কর দেওয়া যায় এমন দেশ) বিনিয়োগ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। এতে গোপনে বিপুল পরিমাণ অর্থ করস্বর্গ হিসেবে পরিচিত দেশ ও অঞ্চলের অফশোর কোম্পানিতে বিনিয়োগের তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

গত বছর একই ধরনের একটি তালিকা ফাঁস হয় যার নাম ছিল পানামা পেপারস কেলেঙ্কারি। এসব নথি প্রথমে জার্মান দৈনিক সুইডয়চে সাইটংয়ের হাতে আসে। পরে সেসব নথি ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টসের (আইসিআইজে) হাতে তুলে দেয় তারা।

বারমুডায় অবস্থিত অ্যাপলবাই নামের এক আইনি সহযোগী সংঘটনের গোপন নথি এসব। যার মধ্যে ১ কোটি ৩৪ লাখ ডকুমেন্টস এখন তদন্ত করে দেখছে ৬৭টি দেশের ৩৮০ জন সাংবাদিক। এসব নথি পেয়েছে বিবিসি, গার্ডিয়ানসহ বিভিন্ন দেশের ১০০টি সংবাদমাধ্যম।

ঢাকাটাইমস/১৮নভেম্বর/কেএস/ডব্লিউবি