‘তোমার মনে যে কথা আছে তাই বলবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০১৭, ২১:০২ | প্রকাশিত : ১৮ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:১৫

বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ লিখিত না হওয়ার পেছনে বেগম মুজিবের পরামর্শ ভূমিকা রেখেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়ার আগে বঙ্গবন্ধুকে বেগম মুজিব বলেছিলেন, ‘তুমি জানো কী বলতে হবে। তোমার মনে যা আছে তাই বলবে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাত্তরের ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কোর ঐতিহাসিক স্বীকৃতি উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে নাগরিক কমিটি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিভিন্ন দেশের আরও ৭৭টি ঐতিহাসিক নথি ও প্রামাণ্য দলিলের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকেও গত মাসের শেষে ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ হিসেবে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত করে ইউনেসকো।

সাতই মার্চের ভাষণের দিনের স্মৃতিচারণা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেদিন রেসকোর্সের ময়দানে বঙ্গবন্ধু ভাষণ দিতে আসবেন, ঠিক ভাষণ দেবার কিছুক্ষণ আগে আমার মা বাবাকে তার শোবার ঘরে নিয়ে বলেছিলেন ‘তুমি অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট একটু বিশ্রাম নাও।’ কারণ অনেকেই অনেক পরামর্শ দিচ্ছিলেন, অনেককেই অনেক লিখিত সিদ্ধান্ত জানাচ্ছিলেন। কী বলতে হবে না বলতে হবে নানা পরামর্শ আসছিল। অনেক লিখিত বক্তব্য আমার বাবার হাতে দেয়া হয়েছিল। আমার মা যখন তাকে ঘরে নিয়ে যান তখন আমি উপস্থিত ছিলাম। আমি তার মাথার কাছে বসেছিলাম। বসে বসে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলাম।’

বঙ্গবন্ধু-কন্যা বলেন, ‘মা বাবাকে বলছিলেন, তুমি সেই কথাই বলবে যে কথা তোমার মনে আছে। তোমার মনে যে কথা আসবে তুমি শুধু সেই কথাই বলবে। ‍তুমিই জানো কী বলতে হবে।’ বঙ্গবন্ধু সেদিন কোনো লিখিত ভাষণ দেননি। লাখো জনতার সামনে তিনি বজ্রকণ্ঠে মন্ত্রমুগ্ধ করা স্বাধীনতার ডাক দিলেন তিনি।

সাতই মার্চের ভাষণের মধ্য দিযে বাঙালি জাতির মুক্তি রচনা হয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বহু ভাষণ শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু সেগুলো ছিল লিখিত। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ লিখিত ছিল না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণের ঐতিহাসিক স্বীকৃতির মাধ্যমে বাঙালি জাতি সারা বিশ্বে সম্মানিত হয়েছে। বাঙালি জাতি আজ বিশ্বে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। বাংলাদেশে এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাবে। আজকে যে সম্মান অর্জন করেছে সেই সম্মান নিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বের কথা তুলে ধরেন তার বক্তৃতায়। তিনি বলেন, জাতির পিতার ডাকে বাংলার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল স্বাধীনতার জেতনায়। সাতই মার্চ লক্ষ লক্ষ মানুষ জমায়েত হয়েছিল রেইসকোর্স ময়দানে। মানুষ বৈঠা হাতে নিয়ে স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে এসেছিল সেদিন। তিনি একটি জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে।

এর আগে নাগরিক সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সমকাল সম্পাদক গোলাম সরওয়ার, শিক্ষাবিদ জাফর ইকবাল প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১৮নভেম্বর/জেডএ/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

ডিএনসিসি কার্যালয় সরানোর মধ্য দিয়ে কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু 

বিএসএমএমইউ উপাচার্যের দায়িত্ব নিলেন দীন মোহাম্মদ, বললেন ‘কোনো অন্যায় আবদার শুনব না’

সাত বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে

বাংলাদেশে মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে সমর্থন অব্যাহত থাকবে: যুক্তরাষ্ট্র

সীমান্তে নিহত দুই বাংলাদেশির লাশ ফেরত দিলো বিএসএফ

ট্রেনে ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের মতো অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

৫০ হাজার টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন

চার বিভাগে নতুন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার

শ্রমিকদের বেতন-বোনাস ঈদের আগেই, ছুটি সরকারি ছুটির চেয়ে কম নয়

সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংবিধান শক্ত অবস্থানে রয়েছে: স্পিকার

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :