পনের বছর পর খুলছে রাজশাহী রেশম কারখানা
দীর্ঘ ১৫ বছর বন্ধ থাকার অবশেষে খুলছে রাজশাহী রেশম কারখানা। রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার প্রচেষ্টায় আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে খুলতে যাচ্ছে এই রেশম কারখানা।
শনিবার দুপুরে রাজশাহী রেশম কারখানা পরিদর্শনকালে রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে রেশম কারখানা খুলছে। তিন স্তরের মাধ্যমে রেশম কারখানা চালু হবে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে পুরো কারখানা চালু হবে।
বাদশা বলেন, রেশম কারখানা বন্ধ হওয়া রাজশাহীবাসীর জন্য দুর্ভাগ্য। আবার সফলতা আসবে রাজশাহীবাসীর জন্য। রেশম কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে আমরা অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি।
তিনি বলেন, কারখানাটি চালু হলে রাজশাহী অঞ্চলের বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে। একই সঙ্গে রেশম গবেষণা কেন্দ্রেও একটি মডেল কারখানা ও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে, যাতে করে বাইরের মানুষ এসে সত্যিকারের রাজশাহী সিল্ক সম্পর্কে অবহিত হতে পারে।
এ সময় তার সঙ্গে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নুর-উর-রহমান, রাজশাহী রেশম কারখানার পরিচালক আনিসুল হক ভুঁইয়াসহ বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহী নগরীর শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকায় ১৯৬১ সালে সাড়ে ১৫ বিঘা জমির ওপর স্থাপিত হয় রাজশাহী রেশম কারখানা। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার প্রায় ১০ কোটি টাকার নতুন যন্ত্রপাতি কিনে কারখানাটির আধুনিকায়ন করে। লোকসান থাকলেও কোম্পানিটি তখন ভালোই চলছিল।
কিন্তু মূলধন না থাকার অজুহাতে বিএনপি সরকার ২০০২ সালের ৩০ নভেম্বর কারখানাটি বন্ধ করে দেয়। ওই সময় কারখানাটির কাঁধে ছিল ১ কোটি ১৩ লাখ টাকার ঋণের বোঝা। ওই সময় সেখানে কর্মরত ছিলেন প্রায় ৩০০ স্থায়ী শ্রমিক। বন্ধের পর স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে চার শতাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েন। পাশাপাশি বিপাকে পড়েন আরো প্রায় ৫০ হাজার পলুচাষি।
সে সময় আন্দোলন করেও কারখানাটি চালু করতে পারেনি রাজশাহীবাসী। বিক্রির জায়গা না পেয়ে এ অঞ্চলের পলুচাষিদের অনেকেই চাষ কমিয়ে দিতে বাধ্য হন। এর পর থেকেই রেশম কারখানাটি খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছে রাজশাহীবাসী। অবশেষে তাদের এই দাবি পূরণ হতে চলেছে। এর মাধ্যমে রাজশাহী আবার রেশমের হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে, এমনটিই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
(ঢাকাটাইমস/১৮নভেম্বর/আরআর/এলএ)