রাজশাহীর এমপি ফারুকের বিপক্ষে একাট্টা সাত প্রার্থী

রাজশাহী ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৮ নভেম্বর ২০১৭, ২১:৫৫

রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরোধী সাত মনোনয়ন-প্রত্যাশী একাট্টা হয়েছেন। তারা এমপি ফারুকের বিরুদ্ধে দলে বিএনপি-জামায়াত থেকে আগত ‘হাইব্রিড’দের মূল্যায়ন, মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্য, চাকরির বিনিময়ে অর্থগ্রহণ, সিন্ডিকেট তৈরি করে চাল ও গম গুদামে সরবরাহসহ বেশ কিছু অভিযোগ তুলেছেন।

শনিবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত গোদাগাড়ীর কাকনহাট পৌরসভা সদরে ‘উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় মনোনয়ন-প্রত্যাশী নেতারা এসব অভিযোগ করেন।

সভা শুরুর আগে তারা এলাকায় ব্যাপক শোডাউন করেন। সভায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমপি বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার করেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বদরুজ্জামান রবু মিয়ার সভাপতিত্বে এবং গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ জামালের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য দেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওই আসন থেকে আওয়ামী লীগের সাত মনোনয়ন-প্রত্যাশী।

তারা হলেন- বদরুজ্জামান রবু মিয়া, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মতিউর রহমান, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এ কে এম আতাউর রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন, প্রচার সম্পাদক ও গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র মনিরুল ইসলাম বাবু, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তানোরের মু-ুমালা পৌরসভার মেয়র গোলাম রাব্বানী এবং জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি আবদুল ওহাব জেমস।

এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেন গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, সাবেক সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম ফাক্কার, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান আখতার, সাবেক দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. শাজাহান, গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহিম, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজা রাজু, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ইয়াসির আরাফাত শওকত, গোদাগাড়ী পৌর যুবলীগের প্রচার সম্পাদক মমিনুল হক প্রমুখ।

বক্তারা অভিযোগ করেন, গোদাগাড়ীর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্য রয়েছে এমপি ফারুক চৌধুরীর। এ সংক্রান্ত সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তারা।

এমপির কর্মকা- আওয়ামী লীগের আদর্শ ও ঐতিহ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে তারা বলেন, তিনি ‘হাইব্রিড’দের নিয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করেছেন। বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের দলে ভিড়িয়ে নেতা বানিয়েছেন। গোদাগাড়ী ও তানোরের যারা ভোটার না তারাও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।

আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, দলের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা এমপি ফারুকের কাছে উপেক্ষিত। এ বিষয়গুলো অচিরেই দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে জানাবেন তারা। এ ছাড়া এমপির বিরুদ্ধে সরকারের ঘরে ঘরে চাকরি কর্মসূচিতে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের চাকরি দেয়া, স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে চাকরির বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা নেয়ার অভিযোগ করা হয়।

এমপি ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ বলে দাবি করেন ওই সাত নেতা। তারা আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে ঘোষণা দিয়ে বলেন, তবে তাদের মধ্যে থেকে যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে, তারা সবাই তার জন্যই কাজ করবেন। ফারুক চৌধুরী যেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পান সে ব্যাপারে তারা ঐক্যবদ্ধ বলে ঘোষণা দেন।

মতবিনিময় সভায় ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে এমপি ফারুক চৌধুরীর বক্তব্য জানতে জন্য তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। তাই এসব অভিযোগের ব্যাপারে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

(ঢাকাটাইমস/১৮নভেম্বর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :