কিডনি দেবেন বোন কিন্তু টাকা নেই চিকিৎসার

আজহারুল হক, আঞ্চলিক প্রতিনিধি (ময়মনসিংহ)
| আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০১৭, ২২:৩৩ | প্রকাশিত : ১৮ নভেম্বর ২০১৭, ২২:২০

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে উপজেলার পূর্ব গফরগাঁও গ্রামের আব্দুর রশিদের পাঁচ সন্তানের মধ্যে তৃতীয় সন্তান রাজন (৩০)। সংসারের একটু সুখের আশায় ২০১৫ সালে সৌদি আরব পাড়ি জমান। কিছু দিন বিদেশে থাকার পর অসুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসেন। বিভিন্ন ডাক্তার দেখিয়ে ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পারেন তার দুটি কিডনি বিকল হয়ে গেছে।

এমন সংবাদে রাজনের আত্মীয়-স্বজন হতাশায় ভেঙে পড়েন। চিকিৎসকদের পরামর্শ, রাজনকে বাঁচাতে হলে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। না হলে রাজনকে বাঁচানো যাবে না।

এরপরই ভাইকে বাঁচাতে নিজের কিডনি দিতে এগিয়ে আসেন ২৮ বছর বয়সী বোন লতিফা বেগম। নিজের সুখ আর সংসারের কথা চিন্তা না করে একটি কিডনি দিয়ে ভাইয়ের জীবন বাঁচাতে চান বোন লতিফা। কিন্তু কিডনি দিলেও রাজনের চিকিৎসা খরচ মেটানোর সামর্থ্য নেই এই দরিদ্র পরিবারের। রাজনের বাবা রাইস মিল কর্মচারী আব্দুর রশিদ সন্তানকে বাঁচাতে নিজের সহায় সম্বল বিক্রি করে দিয়েও কুল কিনারা পাচ্ছেন না।

তাই মরণব্যধীতে আক্রান্ত সন্তানের জীবন বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সাহায্যের আকুতি জানিয়েছেন তিনি।

কিডনি প্রতিস্থাপনে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় ও গফরগাঁও থানা পুলিশ তদন্তপূর্বক সকল কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। তবুও হতাশা কাটেনি রাজনের বাবা রশিদের।

রশিদ জানান, আমার ছেলের জীবন বাঁচাতে আমার মেয়ে কিডনি দিতে সম্মত হলেও চিকিৎসা খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। প্রতি সপ্তাহে রাজনের ডায়ালাইসিস করাতে খরচ হচ্ছে দশ হাজার টাকার মতো। যা প্রায় সাত মাস যাবৎ করছেন তিনি। কিডনি প্রতিস্থাপন করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। আমার বসত ঘর ছাড়া আর কোনো জমিজমা নাই যে তা বিক্রি করে সন্তানের চিকিৎসা করাবো। রাজনের রিপা (৮), মিম (৬), নাহিদ (৪) ও তামিম নামে দেড় বছর বয়সী চারটি সন্তান রয়েছে।

চার সন্তানের জনক রাজনের জীবন বাঁচাতে বিত্তবানরা রাজনের ব্যক্তিগত বিকাশ নাম্বার ০১৭১৯-৫০৪৭৪৯ সাহায্য পাঠাতে পারেন। তাছাড়া রাজনের ভাই মো. সুমন মিয়ার ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও (মো. সুমন মিয়া, সঞ্চয়ী হিসাব নং- ৩০৭৪, রূপালী ব্যাংক লি:, গফরগাঁও শাখা) সাহায্য পাঠাতে পারেন।

এছাড়াও রাজনের বাবা আব্দুর রশিদের সাথে কথা বলতে ০১৯৮০-১০৬৩৭৪ এই নাম্বারে।রাজন বর্তমানে ঢাকার শ্যমলিতে অবস্থিত সিকেডি এন্ড ইউরোলজি হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল ইসলামের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৮নভেম্বর/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :