হাসপাতালের ভেতর প্রতিপক্ষের ওপর বোমা হামলা

প্রকাশ | ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ০০:০৫

যশোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

এলাকায় হামলা-পাল্টা হামলার জেরে দ্বিতীয় দফায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে মারামারিতে জড়িয়েছেন রোগীর স্বজনরা। এসময় এক পক্ষ বোমা বিস্ফোরণ করে পুরো হাসপাতাল আতংকিত করে তোলে।

শনিবার সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে বাবু (৩০) নামে একজন জখম হয়েছেন। এর আগে এলাকায় হামলায় জখম হয়েছেন শহরের রেলগেট রায়পাড়া কয়লাপট্টি এলাকার ইসরাইল হোসেন কাজীর স্ত্রী জাহেদা বেগম (৪৮), ছেলে স্বজল হোসেন এবং অপর পক্ষের একই এলাকার আলী আহম্মদের ছেলে আল-আমিন (২০)।

এলাকাবাসী জানান, শনিবার বিকাল ৪টার দিকে শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া কয়লাপট্টি এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আল-আমিন ও সজল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সজল ও তার মাতা জাহেদা বেগম এবং প্রতিপক্ষের আল-আমিন আহত হন। আহতদের সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আল-আমিনের স্বজন বাবুকে একা পেয়ে ধাওয়া করে প্রতিপক্ষ সজলের লোকজন। ধাওয়া খেয়ে বাবু হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় মহিলা ওয়ার্ডে রোগীর বেডের নিচে গিয়ে লুকান। সেখানেই মারপিট করা হয় বাবুকে। এরপর হামলাকারীরা দ্বিতীয় তলায় তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ের সামনে একটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে স্থান ত্যাগ করে।

মহিলা ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স তৃপ্তি লতা গোস্বামী জানান, ৪/৫ জন যুবক বাবু নামে একজনকে ধাওয়া করলে তিনি এই ওয়ার্ডের রোগীর বেডের নিচে লুকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু রোগীর বেডের নিচেই তার ওপর হামলা করে ওই যুবকরা। এসময় রোগী, স্বজন ও নার্সদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

তিনি আরও বলেন, ওয়ার্ডে রোগীর বেডের নিচে হামলা নজিরবিহীন। এভাবে দায়িত্ব পালন করা নার্সদের জন্য কঠিন।

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক একেএম কামরুল ইসলাম বেনু বলেন, রোগীর স্বজনদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এক পক্ষ দ্বিতীয় তলায় বোমা বিস্ফোরণ করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই বলে দাবি করেন তিনি। 

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম আজমল হুদা জানান, হাসপাতালের মধ্যে দুই গ্রুপ মারামারি করেছে। একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

(ঢাকাটাইমস/১৯নভেম্বর/প্রতিনিধি/ইএস)