সর্বোচ্চ ফিল্মফেয়ার জেতা বলি নায়িকারা

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৪:২৪

সিনেমার বিনোদনের ক্ষেত্রে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম একটি জগৎ হচ্ছে বলিউড। হিন্দী সিনেমার এ বিশাল জগতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বহু প্রতিভাবান নায়িকার দেখা মিলেছে। যারা তাদের পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই ছিলেন আলোকিত। কেউ কেউ দূতি ছড়াচ্ছেন এখনো। জিতেছেন নানা রকম পুরস্কারও।

এই নানা রকম পুরস্কারের ভীড়ে বলিউডের সবচেয়ে সম্মানিত পুরস্কার হচ্ছে ‘ফিল্মফেয়ার পুরস্কার’। যেখানে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরই শুধু পুরস্কৃত করা হয়। চলুন তবে চিনে নেই তেমন কয়েকজন সফল নায়িকাদের, যারা ক্যারিয়ারে সর্বাধিকবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জিতেছেন ফিল্মফেয়ার পুরস্কার।

ঐশ্বরিয়া ও দীপিকা জিতেছেন দুটি করে

তাঁরা দুজন দুই সময়ের নায়িকা। ঐশ্বরিয়া যেমন ছিলেন তাঁর সময়ের নাম্বার ওয়ান, দীপিকাও তেমনি এই সময়ের নাম্বার ওয়ান।

ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন: ২০ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছেন বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ। ১৯৯৯ সালে ‘হাম দিল দে চুকে সানাম’ ও ২০০২ সালে ‘দেবদাস’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে এ পুরস্কার জেতেন নায়িকা। এর মধ্যে ‘হাম দিল দে চুকে সানাম’ ছবিতে তাঁর নায়ক ছিলেন প্রাক্তণ প্রেমিক সালমান খান। আর ‘দেবদাস’ ছবিতে নায়ক ছিলেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান।

দীপিকা পাড়ুকোন: অন্যদিকে, এই সময়ের নাম্বার ওয়ান দীপিকা পাড়ুকোনের ঝুলিতেও ইতিমধ্যে জমা পড়েছে দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। অভিনয় ক্যারিয়ার তাঁর খুব বেশি দিনের নয়। ২০০৭ সালে কিং খান শাহরুখের বিপরীতে ‘ওম শান্তি ওম’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে যাত্রা শুরু দীপিকার। সেই হিসেবে দশ বছর তাঁর রূপালী পর্দায় বিচরণ। এই সময়ের মধ্যে ২০১৩ সালে ‘গোলিও কি রাশলীলা রামলীলা’ ও ২০১৫ সালে ‘পিকু’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জেতেন দীপিকা।

তিনটি করে জিতেছেন শাবানা আজমি, জয়া বচ্চন ও বিদ্যা বালান

শাবানা আজমি: আশির দশকের পর্দা কাঁপানো অভিনেত্রী শাবানা আজমি। ১৯৭৮ সালে ‘স্বামী’, ১৯৮৪ সালে ‘আর্থ’ এবং ১৯৮৫ সালে ‘ভাবনা’ ছবি তিনটির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ঘরে তোলেন এই নায়িকা।

জয়া বচ্চন: বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চনের সহধর্মিনী জয়া বচ্চন। গত ৪৪ বছর ধরে দক্ষতার সঙ্গে সামলাচ্ছেন অমিতাভের সংসার। তেমনি এক সময় সামলেছেন রূপালী পর্দাও। অভিনয় দিয়ে জিতে নিয়েছেন তিনটি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার। ‘কড়া কাগজ’, ‘নেকার’ ও ‘সিলসিলা’ ছবি তিনটির জন্য এ পুরস্কার জেতেন এক সময়ের সাড়া জাগানো এ অভিনেত্রী। অভিনয় করেন এখনও।

বিদ্যা বালান: বলিউডে তিনি এই সময়ের ‘সেক্স সিম্বল’ হিসেবে পরিচিত। ২০০৯ সালে ‘পা’, ২০১১ সালে ‘দি ডাটিং পিকচার, এবং ২০১২ সালে ‘কাহানি’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ঝুলিতে পোরেন বিদ্যা বালান।

মাধুরী ও মিনা কুমারির ঘরে আছে চারটি করে

মিনা কুমারী: পঞ্চাশের দশকের অভিনেত্রী মিনা কুমারী। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই নায়িকা। ১৯৪৯ সালে ‘বীর ঘাতক’ নামের একটি ছবিতে প্রথম নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেন তিনি। ২৩ বছরেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন ৯০টি ছবিতে। এর মধ্যে ‘বাইজু বাইরা’, ‘পরিণীতা’, সাহেব বিবি অর গোলাম’ এবং ‘কাজল’ ছবি চারটির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে চারটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ঘরে তোলেন এই নায়িকা। ১৯৭২ সালে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে প্রয়াত হন তিনি।

মাধুরী দীক্ষিত: ১৯৮৪ সালে ‘অবোধ’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে যাত্রা শুরু মাধুরীর। ১৯৮০ এবং ১৯৯০-এর পুরো দশক জুড়ে তিনি হিন্দি সিনেমার নেতৃত্বদানকারী অভিনেত্রী ও শীর্ষস্থানীয় নৃত্যশিল্পী হিসেবে একচ্ছত্র প্রাধান্য ও প্রভাব বিস্তার করেন। তিনি ১৯৯১ সালে ‘দিল’, ‘১৯৯৩ সালে ‘বেটা’, ১৯৯৫ সালে ‘হাম আপকে হে কৌন’ এবং ১৯৯৮ সালে ‘দিল তো পাগল হে’ ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জেতেন।

সর্বোচ্চ পাঁচটি করে শোকেজে সাজানো নূতন ও কাজলের

অভিনেত্রী নূতন: বলিউড অভিনেত্রীদের মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচটি ফিল্মফেয়ার মালিক দুজনের একজন নায়িকা নূতন। পঞ্চাশের দশকের অভিনেত্রী তিনি। ১৯৫২ সালে ‘মিস ইন্ডিয়া’ শিরোপা জয় করেন। ১৯৫৫ সালে তাঁর অভিনীত ‘সীমা’ ছবিটি ব্যাপক সফলতা পায়। এই ছবির জন্যই তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিল্মফেয়ার পুরস্কারটি হাতে তোলেন। এর পরও তিনি ‘সুজাতা’, ‘বন্ধনী’, ‘মিলান’ এবং ‘তুলসি তেরা আঙ্গান কি’ ছবি চারটির জন্যও একই পুরস্কার পান।

কাজল: ‍দুষ্টুমিষ্টি কাজলকে হিন্দী ছবির ইতিহাসের সবচেয়ে সফল নায়িকাদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৯২ সালে ‘বেখুদি’ ছবির মাধ্যমে বলিউডের রাস্তায় পথচলা শুরু কাজলের। তবে তিনি পরিচিতি পান ১৯৯৩ সালে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের বিপরীতে ‘বাজীগর’ ছবির মাধ্যমে। কিং খানের বিপরীতেই ১৯৯৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’ ছবির জন্য ক্যারিয়ারের প্রথম শ্র্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন তিনি। এর পর ১৯৯৮ সালে ‘কুছ কুছ হোতা হে’, ২০০১ সালে ‘কাভি খুশি কাভি গাম’, ‘২০০৬ সালে ‘ফানা’ এবং ২০১০ সালে ‘মাই নেম ইজ খান’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জেতেন আরও চারটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার।

মজার ব্যাপার হচ্ছে পুরস্কারপ্রাপ্ত পাঁচটি ছবির চারটিতেই কাজলের নায়ক বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে, সমান সংখ্যক পাঁচটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জেতা নায়িকা নূতন সম্পর্কে এই কাজলেরই খালা। নায়িকা কাজল নূতনের ছোট বোনের মেয়ে।

ঢাকাটাইমস/১৯নভেম্বর/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :