সিরাজদিখানে জমি নিয়ে বিরোধে চাচা খুন

প্রকাশ | ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৪:২৫ | আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৪:৩৪

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নে পুকুরের জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ভাতিজার হাতে খুন হয়েছেন এক বৃদ্ধ। তার নাম মজিদ হাওলাদার (৭০)। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার রাত ১০ টা দিকে পশ্চিম মিয়ালদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  লাশ ময়না তদন্তের জন্য আজ রবিবার মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

হত্যার ঘটনায় আটকেরা হলেন- আবুবক্কর হাওলাদার (৬০), জয়নাল হাওলাদার (৫০), হোসেন হাওলাদার (৫৫) ও জামাল হাওলাদার (৪৬)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মতিন হাওলাদারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পুকুরের জমি নিয়ে নিহত মজিদ হাওলাদার ও তার ছেলে মো. ওয়াসিম হাওলাদার (৪২) গংদের বিরোধ চলছিল। পুকুরের বিরোধ নিয়ে কথা বলার জন্য শনিবার রাতে মজিদ হাওলাদেরকে ডেকে নিয়ে যায় আসামিপক্ষ। পরে মীমাংসা না হওয়ায় মজিদ হাওলাদার চলে আসতে চাইলে তার ওপর আঘাত করেন আসামিপক্ষ। এতে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় সাতজনকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের ছেলে ওয়াসিম হাওলাদার।

আসামিরা হলেন, মো.আবু বক্কর (৬০), মো.হোসেন (৫৫), মো. জয়নাল হাওলাদার (৫০), মো.জামাল হাওলাদার (৪৬), মো.কামাল হাওলাদার (৪২), মো. ইউসুফ হাওলাদার (৩০) ও -মো.হোসেন হাওলাদারের ছেলে আব্দুল্লাহ হাওলাদার (২৩)।

 
নিহতের ছেলে ও মামলার বাদী মো.ওয়াসিম হাওলাদার জানান, এশার নামাজ পড়ে বাবা বাড়িতে এসে কোরআন শরিফ পড়তে ছিলেন। এ সময় জুয়েল এসে তাদের বিল্ডিং এ ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে পুকুরের জমি নিয়ে কথা বলতে থাকে আমার বাবা ওখান থেকে উঠে চলে আসার সময় জয়নাল ও হোসেন আমার বাবার ওপড় আঘাত করে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দুলাল হোসেন জানান, রাত ১১ টা ৪৫ মিনিটে আমাদের এ খানে নিয়ে আসার আগেই মজিদ হাওলাদারের মৃত্যু হয়। আমরা দ্রুত সিরাজদিখান থানা পুলিকে জানাই পুলিশ এসে লাশটি সুরতহাল সম্পন্ন করে থানায় নিয়ে যায়।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রপ্ত কর্মর্কতা (ওসি) আবুল কালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাতে খবর পেয়ে আমিসহ অফিসার ও ফোর্স নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। সেখান থেকে অভিযুক্ত সাতজনের মধ্যে ৪ জনকে আটক করতে সক্ষম হই। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা হলছে।

(ঢাকাটাইমস/১৯নভেম্বর/প্রতিনিধি/ইএস)