অভিজিৎ হত্যায় সায়মনের স্বীকারোক্তি

প্রকাশ | ১৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৮:১৭

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বিজ্ঞান মনস্ক লেখক এবং মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীবের কাছে এ আসামি জবানবন্দি দেয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম এ আসামিকে আদালতে হাজির স্বেচ্ছা দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করেন।

গত শনিবার রাতে রাজধানীর বাউনিয়া বাদালদি রোড এলাকা থেকে আসামি সায়মনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের দাবি, সায়মনের সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার। তিনি আনসার আল ইসলামের ইনটেলিজেন্স (গোয়েন্দা শাখা) এবং মিডিয়া উইংয়ের প্রধান। তিনি পলাতক জঙ্গি নেতা জিয়ার নির্দেশে অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। সায়মন বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও পেইজে আনসার আল ইসলামের সব হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আসছিলেন। তিনি ব্লাগার জুলহাস-তনয়, ব্লগার নিলাদ্রী নিলয় ও লেখক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত।

এর আগে গত ৫ নভেম্বর আনসার আল ইসলামের (সাবেক আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) ইন্টেলিজেন্স শাখার সদস্য আবু সাকিব ওরফে সোহেল গ্রেপ্তার করে। সোহেলও অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন। তিনিও গ্রেপ্তারের পরদিন গত ৬ নভেম্বর আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

ওই দুই আসামি ছাড়াও এর আগে এই মামলায় আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য জাফরান হাসান, শফিউর রহমান ফারাবী, তৌহিদুর রহমান, সাদেক আলী, আমিনুল ইসলাম ও মান্না ইয়াহি ওরফে রাহী গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।

ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়কে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া নয়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে সন্ত্রাসীরা তাঁর স্ত্রী নাফিজা আহমেদসহ কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অভিজিৎ। ওই ঘটনায় ওই বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিজিতের বাবা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অভিজিৎ ও তাঁর স্ত্রী দুজনই আমেরিকা প্রবাসী। তিনি মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ও লেখক। তাঁর লেখা নয়টি বই রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৯নভেম্বর/আরজেড/জেবি)