‘গল্পটা একটি বাস্তবতা ও হাজারো মানুষের আত্মপলব্ধি’

প্রকাশ | ২০ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:৩৭ | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:৫৭

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

সমালোচনা দিয়েই শুরু করি। বাংলাদেশের নাটক-সিনেমাগুলোর বহুবিদ সমস্যাগুলোর মধ্যে একটা হচ্ছে দৃশ্যধারণ। যখন চরিত্রের চেহারা দেখানো দরকার তখন দেখানো হয় প্রকৃতি। অথবা যখন একনাগাড়ে দৃশ্যগুলো দেখানো দরকার তখন হয় স্লো মোশন।

এটুকুতেই শেষ নয়। সমস্যা আরো আছে। রোমান্টিক দৃশ্যগুলোতে নায়ক এসে ‘ভালোবাসি’ বললেই হয়ে যায়। কিন্তু বাস্তবে কি তা ঘটে? নাহ! কিন্তু ‘আমাদের গল্পটা এমনও হতে পারতো’ নাটকে দেখা মিলবে অন্যরকম চিত্র। বলতে গেলে অনেকের মধ্যে ব্যতিক্রম এই নাটকটির নির্মাণশৈলি।

নাটকটির পরিচালনার চেয়ারে আছেন মাবরুর রশীদ বান্নাহ নামের এক তরুণ নাট্যনির্মাতা। চিত্রনাট্যও রচনা করেছেন নির্মাতা নিজেই। নাটকের জন্য গল্প লিখেছেন মোরছালিন মাসুম।

নাটকটির প্রথম দৃশ্যেই দেখা যায় নায়ক ইরফান সাজ্জাদ প্রেমের কথা বলার জন্য নায়িকা সাফা কবিরের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। তার মধ্যে ইতস্তত ভাব। প্রেমের প্রস্তাব দেয়ার ক্ষেত্রে গ্রামের একটা ছেলে যেমন লজ্জ লজ্জা ভান নিয়ে দাড়িয়ে থাকে, ঠিক তেমনিই।

ওদিকে সাফা কবিরও মুখে কিছু বলেন না। কিন্তু পেছনে থাকা তার হাতে লুকানো গাছের সবুজ পাতায় লেখা ‘ভালোবাসি’। এমন একটা সুন্দর রোমান্টিক দৃশ্যের পরেই পাল্টে যায় চিত্র। নেমে আসে কষ্টের হাতছানি। দর্শক বুঝতেই পারবেন না পরিচালক কিভাবে আপনাকে মন্ত্রমুগ্ধ করে ফেলেছে।

নাটকের সংলাপগুলোও অন্যরকম। একটা সংলাপ এরকম, ‘কেউ কেউ অনেক পাইয়াও জীবনে সুখী না। আবার কেউ কেউ অল্পতেই সুখী। কিন্তু সেই অল্পটাই কারো কারো জীবনে আসে না। আর যখন আসে তখন অনেক দেরি হইয়া যায়।’

নাটকের আসল উপভোগের বিষয় হলো গল্প। গল্পটা এতই সাধারণ যে মনে হবে প্রত্যেকটা দৃশ্যই আপনার জীবন থেকে নেয়া। আর এই বাস্তবতার সাথে মিলে যাওয়া গল্পটাই নাটকটাকে অসাধারণ করে তুলেছে।

আর এই অসাধ্য সাধন করেছেন নাটকটির পরিচালক মাবরুর রশীদ বান্নাহ। এর গল্পে কোনো অতিপ্রাকৃত বিষয় নেই। বাড়াবাড়ি নেই। নাটকে ইরফান সাজ্জাদ, সাফা কবির এবং মনিরা মিঠুর অভিনয় নাড়িয়ে দিয়েছে দর্শক হৃদয়। সবিশেষে, গল্পটা একটি বাস্তবতা ও হাজারো মানুষের আত্মপলব্ধি।

ঢাকাটাইমস/২০নভেম্বর/এএইচ