কর ফাঁকি নিয়ে গ্রামীণফোনের বক্তব্য

প্রকাশ | ২০ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:৫০ | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:৫৩

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দেশের শীর্ষ টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে মূসক বাবদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গ্রামীণফোনের কাছে ২ হাজার ১৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। এরই প্রক্ষিতে সম্প্রতি গ্রামীণফোন লিমিটেডের সরকারি রাজস্ব আদায়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সহায়তা ও ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

গ্রামীণফোনের এই কর ফাঁকির বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ফোলির দেয়া বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে গ্রামীণফোনের কাছে সরকারের পাওনা নিয়ে আইনগত লড়াই চলছে। যা অচিরেই নিস্পত্তি হবে।

মাইকেল ফোলির দেয়া বিবৃতিতে দাবি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘গ্রামীণফোন বাংলাদেশের বৃহত্তম করদাতা। গত পাঁচ বছরে আমরা কর এবং বিভিন্ন ফি হিসেবে সরকারি কোষগারে ৩০,০৪০ কোটি টাকা জমা দিয়েছি। আমি সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি যে এলটিইউ-ভ্যাট, বিএসইসি এর কাছে লেখা চিঠিতে নির্দিষ্ট কিছু মামলার কথা উল্লেখ করেছে, আমি আবারো উল্লেখ করতে চাই যে  উক্ত মামলা সমূহ বিভিন্ন বিচারিক আদালতে বিচারাধীন থাকা স্বত্তেও আমরা এনবিআর, এলটিইউ ভ্যাট এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাথে এগুলো সমাধানে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়াও আমরা অব্যাহতভাবে প্রতিটি মামলা পর্যালোচনা করছি এবং আইএফআরএস ও বিএফআরএস সহ সকল আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় হিসাবরক্ষণ মান অনুসরণ করে আমাদের অ্যাকউন্টস এ প্রয়োজনীয় প্রভিশন গ্রহণ করি।

অন্য যে কোনো কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের মতো বিভিন্ন সময়ে কর কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের মতানৈক্য হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে আদালতই মতানৈক্য দূর করার যথাযথ কর্তৃপক্ষ এবং আমরা চূড়ান্ত রায় মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এলটিইউ-ভ্যাট যে মামলাগুলোর উল্লেখ করেছে তার মোট অর্থের পরিমান গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ সরকারকে আমাদের প্রদত্ত্ব অর্থের ৬.৭% মাত্র। কিন্তু এই অর্থের পরিমান অল্প নয় এবং আমাদের এইসব বিরোধপূর্ণ দাবির বৈধতার বিষয়ে আইনগত সমাধান প্রয়োজন। কারণ শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়ে আমাদের গভীর দায়িত্ববোধ রয়েছে।

এনবিআর এবং ভ্যাট-এলটিইউ এর কঠোর পরিশ্রমের বিষয়ে আমার গভীর শ্রদ্ধাবোধ আছে কারণ তাদের কাজ খুবই কঠিন। বাংলাদেশের প্রতি গ্রামীণফোন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমরা এই মামলাগুলোর ন্যায্য ও স্বচ্ছ সমাধান চাই।’

(ঢাকাটাইমস/২০নভেম্বর/এজেড)