শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা

প্রকাশ | ২০ নভেম্বর ২০১৭, ১৮:৫৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়েছে। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভায় অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ সভায় এক অনির্ধারিত আলোচনায় শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর বিষয়টি চলে আসে।

সভায় উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মন্ত্রী ঢাকাটাইমসকে জানান, মন্ত্রিপরিষদ সভায় শিল্প কারখানাসহ সব পর্যায়ের শ্রমিকদের বেতনভাতা নিয়ে আলোচনা হয়। সময় কারখানাগুলোতে ট্রেড ইউনিয়ন কেমন চলছে এবং এগুলোতে বাইরের কেউ হস্তক্ষেপ করছে কি না জানতে চান প্রধানমন্ত্রী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মন্ত্রী বলেন, সভায় আলোচনার এক পর্যায়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বাংলাদেশের শিল্প কারখানার শ্রমিকরা ভালো আছেন, তারা বেতনও ভালো পাচ্ছেন। এখন শুরুতেই শ্রমিকরা ৭/৮ হাজার টাকা বেতন পান।

এ সময় নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, বাংলাদেশের শ্রমিকরা ভালো আছেন, এটা ঠিক। তবে তাদের বেতন-ভাতা আরেকটু বাড়ানো উচিত। কারণ সরকারি কর্মচারীদের বেতন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। সেটার সঙ্গে সমন্বয় করে শ্রমিকদের বেতন বাড়েনি। তাই তাদের বেতন আরও বাড়ানো উচিত।

এ সময় শ্রম প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যেহেতু নৌমন্ত্রী শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন তাই মজুরি কমিশন পুনর্বিন্যাস করা যেতে পারে। কারণ বিদ্যমান শ্রম আইন অনুসারে পাঁচ বছর পরপর মজুরি কমিশন পুনর্গঠনের বিধান আছে। কিন্তু সর্বশেষ মজুরি কমিশন গঠনের পর এখনো পাঁচ বছর পূর্ণ হয়নি। ২০১৮ সালে কমিশনের মেয়াদ পাঁচ বছর পূর্ণ হবে। ২০১৩ সালে মজুরি কমিশন করা হয়েছিল। পুনর্গঠনের পর কমিশন যদি বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করে তখন শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানো যেতে পারে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী মনোযোগ দিয়ে মন্ত্রীদের আলোচনা শুনছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি বাংলাদেশে পরিচালিত এনজিওগুলোর কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চান। তিনি আরও জানতে চান, এখন বাইরে থেকে গিয়ে কেউ কারখানার ভেতরে ট্রেড ইউনিয়নের আন্দোলন করতে পারে কি না বা করে কি না?

উত্তরে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এখন আর সেই সুযোগ নেই। কারণ, এখন কারখানার শ্রমিকরাই ট্রেড ইউনিয়ন করেন। আর এসব ট্রেড ইউনিয়নকে বিভিন্ন এনজিও পৃষ্ঠপোষকতা করে। তবে এনজিওগুলো কোথা থেকে ফান্ড নিয়ে আসে, তাদের কার্যক্রম কী, কোথায় সেই ফান্ড ব্যয় হয়―তা আমাদের মনিটর (নজরদারি) করা হয় না।’তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ, এনজিওগুলোর কার্যক্রম নজরদারি করা উচিত। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশে পরিচালিত এনজিওগুলোর কার্যক্রম নজরদারির নির্দেশ দেন।

(ঢাকাটাইমস/২০নভেম্বর/এমএম/জেবি)