বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ক্যানসার বিষয়ে সেমিনার

প্রকাশ | ২০ নভেম্বর ২০১৭, ২১:০৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ইমিউনোহিস্টোক্যামিস্ট্রি ও মলিকিউলার প্যাথলজির মাধ্যমে সুনির্দিষ্টভাবে ক্যানসারের প্রকারভেদ চিহ্নিত করতে পারায় ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের সঠিক থেরাপি প্রদানসহ যথাযথ চিকিৎসাসেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগে ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে তিন হাজার ৭৭৭ জন রোগীর ক্যানসারের প্রকারভেদ নির্ণয় সম্ভব হয়েছে। ক্যানসারের প্রকারভেদ আরও সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করতে মলিকিউলার প্যাথলজিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

সোমবার বেলা ১১টায় বি ব্লকের শহীদ ডা. মিলন হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার সাব কমিটির উদ্যোগে ‘ইমিউনোহিস্টোক্যামিস্টি: নিউ ইরা ইন ডায়াগোনস্টিক সার্জিক্যাল প্যাথলজি’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়।

সেমিনার সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. চৌধুরী ইয়াকুব জামালের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওই সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান।

সেমিনারে প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিন ও প্যাথলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. অসীম রঞ্জন বড়ুয়া, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ কামাল, সহযোগী অধ্যাপক ডা. এ কে এম নূরুল কবির ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. শবনম আখতার। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. মো. রেজাউল আমিন, ডা. ফেরদৌসী বেগম ও ডা. বিষ্ণু পদ দে।

সেমিনারে বিশেজ্ঞরা বলেন, এমন কিছু ক্যানসার রয়েছে যার টিস্যু শুধুমাত্র স্লাইট দেখে নির্ণয় করা যায় না। এই ক্ষেত্রে ইমিউনোহিস্টোক্যামিস্ট্রি-এর সহায়তা নিতে হয়। এরমাধ্যমে সুনির্দিষ্টভাবে ক্যানসারের প্রকারভেদ নির্ণয় করা যায়।

তারা জানান, কারসিনোমা, সারকোমা, লিম্ফোমা, মেলানোমা ইত্যাদি ক্যানসার নির্ণয়ে ইমিউনোহিস্টোক্যামিস্ট্রি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ক্যানসারের প্রকারভেদ আরো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করতে মলিকিউলার প্যাথলজিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

(ঢাকাটাইমস/২০নভেম্বর/এএ/জেবি)