খাগড়াছড়িতে ইবতেদায়ীর প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে হলো ৩০ পিএসসি শিক্ষার্থীর!

সারাদেশের মতো খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মানিকছড়ি উপজেলায়ও ১৯ নভেম্বর পিএসসি ও ইবতেদায়ীর সমাপনী পরীক্ষার প্রথম দিনে ইংরেজি  পরীক্ষায় কেন্দ্রের একটি কক্ষে ৩০ জন পিএসসি শিক্ষার্থীকে ইবতেদায়ীর প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে হয়েছে।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা শুভাশীষ বড়ুয়া বিষয়টি গোপন রেখে শিক্ষার্থীদের পাস করিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও শেষ পর্যন্ত এটি প্রকাশ হওয়ায় অভিভাবক মহলে তোলপাড়সহ প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে।

উপজেলা সদরের ‘রাণী নিহার দেবী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়’ পিএসসি কেন্দ্রের ১১২নং কক্ষের ৩০ জন শিক্ষার্থী যথাক্রমে রাজবাড়ী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১২ জন, কারিতাস আলোঘর প্রকল্পের আওতায় দক্ষিণ হাফছড়িপাড়া শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের ১০ জন ও মুসলিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ইবতেদায়ীর ইংরেজি প্রশ্ন বিতরণ করা হয়।

এতে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন কমন নয় বলে প্রতিবাদ করলেও তাতে কর্ণপাত করেনি পর্যবেক্ষকরা। ফলে মাদ্রাসা প্রশ্নেই পরীক্ষা দিতে হয়েছে পিএসপি সমাপনীর এই ৩০ পরীক্ষার্থীকে।

এদিকে বিষয়টি জানাজানির পর উপজেলা প্রাথমিক ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা শুভাশীষ বড়ুয়া ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহমুদুল হক বিষয়টি এড়িয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পাস করিয়ে দেয়ার নিশ্চয়তা দিয়েই ক্ষান্ত হন। তারা সাংবাদিকদের জানান, অসাবধানতাবশত এমন ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে সোমবার (২০ নভেম্বর) সকালে ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে মো. আবদুল আলীম ও সুঁচিংপ্রু মারমা নামে জনৈক শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিষয়টি আমলে নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাসহ পরবর্তী করণীয়ের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অ.দা) মো. জাহিদ ইকবাল বলেন, কেন্দ্রে এমন ঘটনার পরও কেন্দ্র সচিব, ভারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, হল সুপার, এমনকি কোন অভিভাবকও বিষয়টি প্রশাসনকে জানাননি। আজ যেহেতু বিষয়টি জেনেছি, তাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২০নভেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)