বিচারপতি নিয়োগের সঙ্গে রিভিউয়ের সম্পর্ক নেই: আইনমন্ত্রী

প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০১৭, ১২:২৮ | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৭, ১৪:২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগের সঙ্গে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি জানান, কিছুদিনের মধ্যেই এই বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রসাশন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অতিরিক্ত জেলা জজ মানের বিচার বিভাগীয় কর্র্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।

প্রধান বিচারপতির পদ থেকে সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পদত্যাগের পর আপিল বিভাগে নতুন নিয়োগের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। এই বিভাগে বর্তমানে পাঁচজন বিচারপতি আছেন।

নতুন বিচারপতি নিয়োগের সঙ্গে রিভিউ আবেদনের সম্পর্ক নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘রিভিউ শুনানিতে সাত বিচারপতি থকতে হবে সুপ্রিম কোর্ট রুলসে এমন কোনো কথা নেই আমার জানা মতে। এমনও আছে, যেখানে অনেকেই অবসরে গেছেন কিন্তু রিভিউ শুনানি হয়েছে।’

সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের তদন্তে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে কিনা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন একটি স্বাধীন কমিশন। দুদক কী করবে সেটা তারা সিদ্ধান্ত নেবে। এখানে আমার কিছু বলার নেই। তবে আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।’  

অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশ কবে হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন,‘গত বৃহস্পতিবার আমরা (আপিল বিভাগের বিচারপতি ও আইনমন্ত্রী) বসেছিলাম এবং আমাদের যে ক্ষুদ্র মতভেদ ছিল সেটা দূর হয়েছে এবং সমাধান হয়েছে। সেদিন বলেছিলাম, গেজেটের খসড়া রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতি যদি সেটিসফাইড হন, তিনি যদি অনুমোদন দেন তাহলে গেজেট পাবলিকেশনের আর বিলম্ব হবে না।’

‘পরিস্থিতি এখন হচ্ছে এরকম যে, আমরা আলোচনার মাধ্যমে যে ড্রাফটি এগ্রি করেছি সেটার ফাইনাল ড্রাফ্ট করা হয়েছে এবং গতকাল সেটা সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট থেকে যে মুহূর্তে ফিরে আসবে আমি আইন মন্ত্রণালয় থেকে সেটা মাহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেব।’

অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশ নিয়ে সঙ্কটের মধ্যে সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহা বলেছিলেন, ‘বিচার বিভাগে দ্বৈতশাসন চলছে।’ বর্তমান গেজেটের মাধ্যমে এই কথিত ‘দ্বৈতশাসনের’ অবসান হতে যাচ্ছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘নিশ্চয় দেখবেন যখন এটা বেরুবে, দ্বৈতশাসন আছে কি না এবং দেখেন, উনার (বিচারপতি এসকে সিনহা) এসব কথার প্রত্যেকটার জবাব আমি দিতে পারব না। তার কারণ হচ্ছে, আমি দেব না।’

‘আরেকটা কথা হচ্ছে যে, আপনারা দেখেছেন যে, কত দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হয়েছে সাবেক প্রধান বিচারপতি চলে যাওয়ার পরে। আমার মনে হয়, বাকিটুকু আপনারা বুঝে নিতে পারবেন।’

(ঢাকাটাইমস/২১নভেম্বর/এমএবি/ডব্লিউবি)