সাদুল্যাপুরে পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২১ নভেম্বর ২০১৭, ১৯:৫৫

গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলায় অস্ত্রের মুখে ভাতিজা ও ছেলেকে বেঁধে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এক কর্মকর্তার বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। এ ঘটনায় জাহিদ মিয়া (৩২) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ডাকাতদল মোটরসাইকেল, স্বর্ণালংকার ও টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে।

সোমবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে শহরতলীর উত্তর কাজিবাড়ি সন্তোলায় সিআইডির কর্মকর্তা শাহারুল আলমের বাসায় এ ডাকাতি হয়।

বাসায় থাকা শাহারুল আলমের ভাতিজা সজিব ও ছেলে সাকিব জানান, বাসায় কেউ না থাকায় রাতে খাবার খেয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। ৮-১০ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল রাত আড়াইটার দিকে বাঁশের মই দিয়ে প্রাচীর টপকিয়ে বাসায় ঢোকে। এরপর তারা লোহার শাবল দিয়ে বাসার মূল দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে দুজনের হাত ও মুখ বেঁধে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতরা। এরপর ডাকাতরা তিনটি রুমে থাকা স্টিলের আলমারি ও ওয়ার ড্রব ভেঙে ৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, একটি পালসার মোটরসাইকেল, একটি ল্যাপটপ, দুটি মোবাইল সেট, ব্লরে ডিভিডি প্লেয়ার, নগদ টাকাসহ ঘরের মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায়।

এছাড়া, ব্যাংকের কাগজপত্র, জমির দলিল ও চাকরির কাগজপত্র নিয়ে যায় ডাকাতরা।

সাকিব আরও জানায়, ডাকাতদল প্রায় একঘণ্টা সময় বাসার ভেতর অবস্থান করে লুটপাট করে। মালামাল লুটের সময় ডাকাতরা তার বাবা শাহারুল আলম কোথায় আছে তা বারবার জানতে চেয়ে হুমকি দিয়ে মারধর করতে থাকে। এসময় ভয়ে তার বাবা শাহারুল ঢাকায় আছে জানালে বাসা থেকে চলে যায় ডাকাতরা।

বাসার মালিক শাহারুল আলম জানান, তিনি (সিআইডি) রংপুরে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই)। বিভাগীয় পরীক্ষা ও স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। এ কারণে বাসায় ভাতিজা ও ছেলে ছিলো। সংঘবদ্ধ ডাকাতরা তার বাসার প্রায় ১২ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। তিনি বাসায় থাকলে হয়তো তাকে হত্যা করতো ডাকাতরা। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দের সাথে তার বিরোধ চলছিলো। সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সঙ্গে স্থানীয়রা জড়িত থাকতে পারে বলে তার ধারণা।

তিনি আরও জানান, বাড়ি করার সময় থেকেই তার কাছে বিভিন্ন অজুহাতে চাঁদাদাবি করে আসছিলো স্থানীয় বখাটে যুবকরা। এর আগে, চাঁদা না পেয়ে তারা বাসার থাই গ্লাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশে সমাধান না হওয়ায় তিনি সাদুল্যাপুর থানায় একটি মামলা করেন। এরপরেও বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনেও হুমকিসহ চাঁদাদাবি করে আসছিলেন স্থানীয় যুবকরা। সম্প্রতি হুমকির ঘটনায় তিনি সাদুল্যাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ডাকাতদের শনাক্ত ও মালামাল উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। জিঞ্জাসাবাদের জন্য প্রতিবেশি জাহিদ নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

(ঢাকাটাইমস/২১নভেম্বর/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :