পরকীয়ায় স্বামী খুন: স্ত্রী ও প্রেমিক গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ২২ নভেম্বর ২০১৭, ২২:০১ | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:১৩

গাজীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মোগড়খাল এলাকায় স্ত্রীর পরকীয়ার জের ধরে বুলবুল আলম নামে এক পোশাক কারখানা শ্রমিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্ত্রী এবং তার প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে। হত্যার ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মামলা করেছেন।

নিহত বুলবুল আলম দিনাজপুরের পার্বতীপুর সদর এলাকার হুমায়ুন কবীরের ছেলে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- নিহত বুলবুল আলমের স্ত্রী দিনাজাপুরের পার্বতীপুর উপজেলার দেওয়ালিয়াপড়া গ্রামের অহেদ আলীর মেয়ে জয়নব আক্তার ও তার পরকীয়া প্রেমিক পাবনার চাটমোহর থানার ধুলাউড়া গ্রামের তজু সরদারের ছেলে আসাদুল ইসলাম।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার বলছে, বুলবুল আলম তার স্ত্রী জয়নবকে নিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পশ্চিম মোগড়খাল এলাকায় মোহর উদ্দিনের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়ায় বসবাস করছিলেন। পাশাপাশি স্বামী-স্ত্রী দুইজন স্থানীয় একটি পোশাক তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। কারখানায় কাজ করার সময় জয়নব আক্তার তার সহকর্মী আসাদুল ইসলামের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিন্তু এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় জয়নবের স্বামী বুলবুল আলম। এনিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো। এরই জের ধরে মঙ্গলবার বিকালে ভাড়া বাড়িতে বুলবুলের গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তারা। পরে বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে মরদেহটি নিয়ে জয়দেবপুর রেল জংশনে নিয়ে যায়। স্টেশনের লোকজন জানতে চাইলে অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে দিনাজপুর যাবে বলে জানায়। লোকজনের চাপে তারা রাতে বুলবুলকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এক পর্যায়ে জয়নব ও তার প্রেমিক আসাদুল সটকে পড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিহতের গলায় কালো দাগ দেখে পেয়ে বিষয়টি হত্যা বলে ধারণা করেন। পরে তাদের আটক করে পুলিশে খবর দিলে জয়দেবপুর থানা পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ নিহতের স্ত্রী জয়নবকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।

জয়দেবপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় বুধবার নিহতের বড় ভাই আবুল হোসেন জয়দেবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২২নভেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)