মঠবাড়িয়ায় ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল মাদ্রাসাছাত্রী

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২২ নভেম্বর ২০১৭, ২২:১২
প্রতীকী ছবি

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ইউএনও জি.এম সরফরাজের হস্তক্ষেপে অবশেষে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল মাকসুদা নামে দশম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রী। অভিনব কৌশলে চাচার বউভাত অনুষ্ঠানের অন্তাড়ালে মাদ্রাসাছাত্রীর বিয়ের আয়োজন চলছিল। হাতে মেহেদী, গায়ে হলুদ সবই শেষ। বরও এসে উপস্থিত।

এমন সময় বিয়ে বাড়িতে হানা দেন পুলিশ ও স্থানীয় এনজিও কর্মীরা। মুহূর্তের মধ্যে পাল্টে গেল বিয়ের পরিবেশ। অবশেষে বন্ধ হলো বাল্যবিয়ে।

উপজেলার ঝাটিবুনিয়া গ্রামের কৃষক ইসমাইল হোসেনের মেয়ে মাকসুদা আক্তার (১৬)-এর সাথে পাশের বরগুনা জেলার তালতলী গ্রামের জয়নাল হোসেনের ছেলে আলামিনের বিয়ে ঠিক হয়। বর পেশায় একজন জেলে।

মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলে বুধবার সকা‌লে স্থানীয় বাসিন্দারা অনলাইনে কেন্দ্রীয় মহিলা অধিদপ্তরে বাল্যবিয়ের অভিযোগ দেয়। অভিযোগটি আমলে নিয়ে কেন্দ্রীয় মহিলা অধিদপ্তর স্থানীয় মহিলা অধিদপ্তরকে অবহিত করেন। পরে বিযয়টি মঠবাড়িয়ার ইউএনও জি.এম সরফরাজ অবহিত হলে তার নির্দেশে পুলিশ,মহিলা অধিদপ্তরের ক্রেডিট সুপারভাইজার আবু জাফর খান ও স্থানীয় একটি এনজিওর মাঠ সমন্বয়কারী ছুটে গিয়ে বন্ধ করে দেন এই বাল্যবিয়ে। এসময় বর পক্ষ পালিয়ে যায়।

পরে কনের পিতা ইসমাইল, চাচা আবুল কালাম আজাদকে ইউএনওর কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।

ইউএনও জি.এম. সরফরাজ জানান, চাচার বিয়ের আড়ালে ওই শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ের চেষ্টা চলছিল। খবর পেয়ে বিয়ে বন্ধ করে অভিভাবকের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে দিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

(ঢাকাটাইমস/২২নভেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :