জিদান হত্যায় সহপাঠী আবু বকরের স্বীকারোক্তি
রাজধানীর গুলিস্তানে মদিনাতুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র আব্দুর রহমান জিদান (১৪) হত্যা মামলায় তার সহপাঠী মো. আবু বকর (১৬) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
কোনো রিমান্ড ছাড়াই বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আমিরুল হায়দার চৌধুরী কাছে তিনি ওই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই রেজাউল করিম এ আসামিকে আদালতে হাজির করেন ওই জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করেন।
গত ২০ নভেম্বর ভোরে মাদ্রাসার বাথরুম-গোসলখানার সেফটি ট্যাঙ্কের ম্যানহোল থেকে জিদানের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
র্যাবের দাবি, ওই মাদ্রাসায় চার বছর ধরে আবাসিক ছাত্র ছিলেন আব্দুর রহমান জিদান। একই মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষার্থী আবু বকর জিদানকে দিয়ে বিভিন্ন রকম ব্যক্তিগত কাজ করানোর চেষ্টা করতেন। আবু বকর জিদানকে দিয়ে কাপড় কাচা, খাবার আনাসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ফরমায়েশ খাটানোর চেষ্টা করতেন। কিন্তু এসব আদেশ মানতে না চাওয়ায় গত ১৬ নভেম্বর জিদানকে চড়-থাপ্পরও মারেন আবু বকর। জিদান বিষয়টি মাদ্রাসার শিক্ষক ইয়াছিনকে জানালে তিনি আবু বকরকে সতর্ক করে দেন এবং মীমাংসা করে দেন।
এরপর এক পর্যায়ে আবু বকর অনৈতিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দিলে জিদান রাজি হননি। তবে জিদানের সঙ্গে মাদ্রাসার আরেক ছাত্রের ঘনিষ্ঠতা দেখে আবু বকর ধারণা করেন, তাদের মধ্যে সম্ভবত অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। নিজের আহ্বানে সাড়া না দেয়ায় জিদানকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
এজন্য গত ১৯ নভেম্বর এশার নামাজের পর নিজের ফল কাটার ছুরি দিয়ে আনুমানিক দেড়টার দিকে জিদানের গলায় ছুরি চালান তিনি। এর কিছুক্ষণ পর জিদানের মরদেহ মাদ্রাসার সেপটিক ট্যাংকের কাছে ফেলে পালিয়ে যান আবু বকর।
নিহত জিদান ওই মাদ্রাসার হিফজ শাখার ছাত্র এবং ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার জালেরশর গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে। ছেলের মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঢাকায় এসে তিনি পল্টন থানায় আবু বকরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর গত বুধবার ভোরে আবু বকরকে সদরঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
(ঢাকাটাইমস/২৩নভেম্বর/আরজেড/জেবি)