বিপিএল ঘিরে চট্টগ্রামে কড়া নিরাপত্তা

চট্টগ্রাম ব্যুরো:
| আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০১৭, ১৪:২২ | প্রকাশিত : ২৪ নভেম্বর ২০১৭, ১১:০৮

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে (বিপিএল) ঘিরে চট্টগ্রামে গড়ে তোলা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী। আজ ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে দেশের ঘরোয়া আসরের সবচেয়ে এই বড় আসরের তৃতীয় পর্ব। চলবে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত।

২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে এ আসরের সাতটি দল চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে। যাদের নিরাপত্তায় গড়ে তোলা হয়েছে নিরাপত্তা বেষ্টনী। সম্পন্ন হয়েছে মাঠের প্রস্তুতি।

আজ শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে টিকিট বিক্রি। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি), চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

সিএমপি সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম পর্বের এ খেলায় অংশ নিতে চট্টগ্রামে ইতোমধ্যে এসে পৌঁছেছে সাতটি দল। দলের খেলোয়াড়দের নিরাপত্তায় প্রায় এক হাজার ৫০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। টহলে রয়েছে র‌্যাব সদস্যরাও।

সিএমপির কমিশনার ইকবাল বাহার এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার স্বার্থে ইতোমধ্যে বেশকিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত চলাচলে অনুৎসাহিত করা, নগরীর প্রধান সড়ক শেখ মুজিব রোড যানজট মুক্ত রাখা এবং মোবাইল ছাড়া অন্য কোন কিছু নিয়ে মাঠে প্রবেশ না করার কথা বলেছেন তিনি।

ইকবাল বাহার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে আসা সাতটি দলের পাঁচটি দল হোটেল রেডিসন ব্লু-তে, বাকি দুটি দলের একটি প্যানিনসুলা এবং আরেকটি আগ্রাবাদ হোটেলে অবস্থান করছে। আমরা প্রতিটি টিমকে নিরাপত্তার স্বার্থে বলে দিয়েছি ক্রিকেটাররা যাতে ব্যক্তিগতভাবে চলাচল না করে। একান্তে প্রয়োজন হলে প্রতিটি হোটেলেই পুলিশ টিম থাকবে। তাদের সঙ্গে নিয়ে যেন বের হন। ’

সিএমপি কমিশনার জানান, বিপিএলের সবগুলো খেলাই হবে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। মাঠের পরিচর্যার কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এম আজিজ স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবে বিভিন্ন দল। মাঠে দর্শকরা শুধুমাত্র মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। পানির বোতলসহ অন্য কোনো খাদ্যসামগ্রী নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। জাতীয় পতাকা আর প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রবেশ করা যাবে, তবে লাঠিবিহীন হতে হবে।

পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘মাঠে পানিসহ অন্যান্য খাদ্য পাওয়া যাবে। সেখান থেকে কিনে খেতে হবে। বাইরে থেকে কোনো কিছু নিয়ে মাঠে প্রবেশ করা যাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বে নিরাপত্তায় কাজ করবে ১৫০০ পুলিশ সদস্য। অবশ্য খেলা চলাকালীন মাঠে ১১০০ পুলিশ কাজ করবেন। সবমিলিয়ে ১৫০০ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।’

তিনি বলেন, ‘নগরীর প্রধান সড়ক শেখ মুজিব রোডকে যানজট মুক্ত রাখতে হচ্ছে। এটা বেশিক্ষণ অবরুদ্ধ করে রাখা মানে যানজট বাড়ানো। তাই আমরা চাইবো খেলোয়াড়দের কম সময়ে আনা নেওয়ার কাজটা সারতে।’

টিকিট নিয়ে যাতে দর্শকদের ভোগান্তি এড়াতে খেলা শুরুর চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা আগে থেকেই টিকেট বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) বুথে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। বিটাক মোড় ও এম এ আজিজ স্টেডিয়াম এলাকার নির্দিষ্ট কাউন্টার থেকে আজ শুক্রবার সকাল থেকে দর্শকরা টিকিট সংগ্রহ করছেন।

খেলা চলাকালীন নিরাপত্তা নিয়ে কড়াকড়ি থাকায় সাগরিকা এলাকায় বিভিন্ন অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরতরা ভোগান্তিতে পড়েন। প্রায় সময় তারা সেদিকে প্রবেশ করতে পারে না। তাই তাদের জন্য এবার আলাদা স্টিকারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা দেখিয়ে তারা নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে যেতে পারবেন বলে জানান পুলিশ কমিশনার।

(ঢাকাটাইমস/২৪নভেম্বর/জেইউএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :