গুম স্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ফখরুল

প্রকাশ | ২৪ নভেম্বর ২০১৭, ২৩:০২

অনলাইন ডেস্ক

অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুমের পক্ষে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে  এ কথা বলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ দেশে মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানান। তিনি বলেন, মানুষ গুম হচ্ছে, ঘরেও নিরাপদ নেই কেউ। এই বিষয়টি সরকারের দেখা উচিত।

পরে সংসদের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা ‘গুম কোথায় নেই’ এমন প্রশ্ন তুলে ২০০৯ সালের একটি পরিসংখ্যানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘বৃটেনে দুই লাখ ৭৫ হাজার ব্রিটিশ নাগরিক গুম হয়ে গেল। তার মধ্যে ২০ হাজারের কোনো খোঁজ পাওয়া গেল না। আমেরিকার অবস্থা আরও ভয়াবহ।’

প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তিনি অন্যান্য দেশের তুলনা করেছেন। একটাকে বলা হয়, এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স, অর্থাৎ যেটা সরকারি পর্যায়ে গুম করা হয়। এই গুম মধ্য যুগে, বিশেষ করে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে ছিল, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এই ঘটনাগুলো ছিল। এখন বাংলাদেশে কয়েক বছর ধরে ঘটছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রতিপক্ষকে গুম করে ফেলা হচ্ছে আইনশৃ্ঙ্খলা বাহিনী দিয়ে। এটা কিন্তু অন্য কোনো গুমের ব্যাপার নয়। প্রধানমন্ত্রী শিকার করে নিয়েছেন,  গুম বাংলাদেশে হচ্ছে। এটা ভালো কথা যে একটা সত্য স্বীকার করেছেন।’

বিএনপির মহাসচিব রোহিঙ্গা ফেরার পথ সুগম করতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমঝোতাপত্র সই নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন,  ‘সমঝোতার বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা জানি না। এটি এখনো জনসম্মুখে আনা হয়নি।’তিনি মিয়ানমারের সঙ্গে সই করা সমঝোতা স্মারক প্রকাশের দাবি জানান।

চুক্তির ফলে রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে আস্থা পাবে কি না, তারা আবার গণহত্যার শিকার হবে কি না— এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা দরকার বলে মনে করেন মির্জা ফখরুল।

এখনো মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সেখানে নির্যাতন করছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এখন যদি রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হয়, তাহলে সেটা হবে তাদের নরকে ঠেলে দেওয়ার মতো।’

বৃহস্পতিবার নেপিডোতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলরের দপ্তরের মন্ত্রী তিন্ত সুয়ে একটি সমঝোতায় সই করেন।

(ঢাকাটাইমস/২৪নভেম্বর/মোআ)