এখনো খোঁঁজ নেই নীলফামারীর তিন চিকিৎসকের

প্রকাশ | ২৫ নভেম্বর ২০১৭, ০৮:৩৫

নীলফামারী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নীলফামারীতে তিন চিকিৎসককে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজে পাচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিনা ছুটিতে লাপাত্তা তিন চিকিৎসক হলেন ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. ইমরান হাসান, একই উপজেলার নাউতারা ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. মামুনুর রশীদ চৌধুরী এবং ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. শওকত আলী শাফায়াত। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই তিন চিকিৎসক লাপাত্তা হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত নিজেদের বেতন-ভাতাও তোলেননি। কর্মস্থলে তাদের অনুপস্থিতির বিষয়টি নজরে আসার পর তাদের বাড়ির ঠিকানায় তিন দফা চিঠি পাঠায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর। কিন্তু কোনো উত্তর মেলেনি।

শুক্রবার সকালে ঢাকাটাইমসের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা হয় নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডা. রণজিৎ কুমার বর্মণের সঙ্গে। তিনি জানান, কর্মস্থলে অনুপস্থিত চিকিৎসকদের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরেজমিন তদন্ত করা হয়েছে। কিন্তু এই তিন চিকিৎসকের কোনো সন্ধান দিতে পারেনি কেউ। 

সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নথি থেকে জানা গেছে, চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার মিঠানালা গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে ডা. মামুনুর রশীদ চৌধুরী (কোড নম্বর ১২৬০১৬) ২০১২ সালের ২৪ জুন ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে নাউতারা ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগ দেন। সেখানে মোট ৪০ দিন কর্মরত ছিলেন তিনি। এরপর ওই বছরের ৪ আগস্ট থেকে অনুপস্থিত। 

ডা. ইমরান হাসান (কোড নম্বর ১২৮৮৪৩) ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগ দেন ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট। এরপর ২০১৫ সালের ১ আগস্ট থেকে বিনা ছুটিতে লাপাত্তা তিনি। নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা শহরের শহীদ আতিয়ার কলোনি মহল্লার ইকবাল হাসানের ছেলে ডা. ইমরান।

অপরজন ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. শওকত আলী শাফায়াত ২০১০ সালের ১ জুলাই যোগদানের পরদিন থেকেই অনুপস্থিত রয়েছেন। তার দাপ্তরিক নথিতে এর বেশি কিছু লেখা নেই। এমনকি সেখানে তার চাকরির কোড নম্বর কিংবা বাড়ির ঠিকানাও পাওয়া যায়নি।

(ঢাকাটাইমস/ ২৫নভেম্বর/মোআ)