মাগুরায় চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভ

হাইকোর্টের রায় নিয়ে চাকরিতে যোগদান করতে এসে ফিরে গেলেন মাগুরা টেক্সটাইলসের শ্রমিক, কর্মচারীরা। পরে চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা।

সোমবার দুপুরে মিল গেটে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।

দুপুর ১২টায় মিলের চাকরিচ্যুত ২৩ শ্রমিক কর্মচারী আদালতের রায়ের কপি নিয়ে চাকরিতে যোগদানের জন্য ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ে যান। এ সময় ব্যবস্থাপক তাদের যোগদানপত্র গ্রহণ না করে বিটিএমসিতে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। চাকরিতে যোগদান করতে না পেরে শ্রমিক, কর্মচারীরা মিল ক্যাম্পাসে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক, কর্মচারীদের পক্ষে বক্তব্য দেন- শ্রমিক ও প্রাক্তন সিবিএ সভাপতি ফারুকুল ইসলাম বলেন, ১৯৯৯ সালে ৩১ মে বিটিএমসির এক আদেশে মাগুরা টেক্সটাইল মিলের ৮০০ শ্রমিককে জোরপূর্বক গোল্ডেন হ্যান্ডসেকের মাধ্যমে শ্রমিকদের বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়। যা মিল শ্রমিকরা মেনে নেয় না। পরবর্তীতে আমিসহ আরো ২২ জন শ্রমিক হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করি। দীর্ঘ শুনানি শেষে এ বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বাধ্যতামূলক অবসরের আদেশকে অবৈধ ঘোষণা করে আমাদের পক্ষে রায় দেয়। সে মোতাবেক গত ৬ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ হাইকোর্টের রায়ের কপি নিয়ে ২৩ জন শ্রমিক যোগদান দরখাস্ত নিয়ে মিল ব্যবস্থাপকের নিকট নিয়ে আসি। বিটিএমসি’র কোনো নিদের্শনা নেই মর্মে তিনি আমাদের যোগদান দরখাস্ত গ্রহণ করেননি। যা আদালত অবমানানা।

ক্ষুব্ধ শ্রমিক মুক্তিযোদ্ধা আরজ ফকির বলেন, জীবনবাজি রেখে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি। কিন্তু এক আদেশের মাধ্যমে আমাদের চাকরি শেষ করে দেয় বিটিএমসি। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে যোগদান করতে আসলেও মিল ব্যবস্থাপক আমাদের কোনো কাগজ গ্রহণ করছেন না। হাইকোর্টের আদেশকে অমান্য করায় আমি দুঃখিত।

এক পর্যায়ে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শেষ করে আলোচনায় বসেন।

মিলের ব্যবস্থাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, তিনি বিষয়টি বিটিএমসিকে অবহিত করেছেন। চাকরিতে যোগদান করতে আসা শ্রমিক কর্মচারীদের তিনি বিটিএমসিতে যোগাযোগ করতে বলেছেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব আজাদ জানান, তিনি শ্রমিকদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে মিলে এসেছেন। মিল কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলেছেন। আলাপ-আলোচনা ও আদালতের নিদের্শনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৭নভেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)