খাটের নিচে পুঁতে রাখা নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মানিকগঞ্জ থেকে নিখোঁজ হওয়ার তের দিন পর এক রাইস মিল কর্মচারীর লাশ আশুলিয়া থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার বিকালে শিমুলিয়া ইউনিয়নের ঋষিপাড়া এলাকার ছোট কালু মনি দাসের ছেলে সঞ্জয় দাসের শয়নকক্ষের খাটের নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ ও আশুলিয়া থানা পুলিশ।
দুই সন্তানের জনক নিহত আফজাল হোসেন মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার ইজদিয়া যাত্রাপুর এলাকার শেখ রহিমের ছেলে। তিনি একই জেলার ঘিওর থানার বানিয়াজুড়ি এলাকার আলমের রাইস মিলের কর্মচারী ছিলেন।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ ঘিওর থানার উপ-পরিদর্শক হযরত আলী ও আশুলিয়ার থানার উপ-পরিদর্শক মনির হোসেন জানান, এ মাসের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের ঘিওর থানার বানিয়াজুড়ি আলম বিশ্বাসের রাইস মিলের কর্মচারী আফজাল হোসেন নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় ঘিওর থানায় একটি ডায়েরি করেন তার স্বজনরা।
তারা আরো জানান, ঘিওর এলাকার বানিয়াজুড়ি গ্রামের প্রশান্ত কুমারের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী দীপার সাথে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল নিহত আফজালের। এর সুবাদে আফজালের নিকট চার লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিল দীপা। কিন্তু ঋণের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে দীপা নানা তালবাহানা করতে থাকে। এ নিয়ে দীপা ও আফজালের মধ্যে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়। এরই জেরে দীপা আফজালকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এক পর্যায়ে দীপা বেড়ানোর কথা বলে আফজালকে তার বেয়াই সঞ্জয়ের বাড়ি আশুলিয়ার ঋষিপাড়া এলাকায় ডেকে নিয়ে আসে। পরে সেখানে আফজালকে বেদম মারধরের পর হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর সঞ্জয়ের বসবাসরত খাটের নিচে চার ফুট মাটির গর্তে লাশ পুঁতে রাখা হয়।
এ ঘটনার পর মোবাইল ফোনের প্রযুক্তির সহায়তায় দীপাকে আটক করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে দীপা হত্যার কথা স্বীকার করে। তার তথ্যের ভিত্তিতে মানিকগঞ্জ ও আশুলিয়া থানা পুলিশ আশুলিয়ার ঋষিপাড়া এলাকায় সঞ্জয়ের বাড়ির নিজ কক্ষে পুঁতে রাখা অবস্থায় আফজালের লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে সঞ্জয় পলাতক থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান তারা।
(ঢাকাটাইমস/২৭নভেম্বর/আইআই/এলএ)